২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১০:২৯
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১০:২৯

দিন শেষে ৫ উইকেটই প্রাপ্তি, বড় স্কোরের পথে নিউজিল্যান্ড

শুরুটা ছিল দারুণ। বিশেষ করে প্রথম ঘণ্টা। চতুর্থ ওভারে প্রথম শিকার টম লাথাম। কিন্তু সময় যত গেছে ম্যাচের লাগাম ধীরে ধীরে নিজেদের করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। শনিবার দিন শেষে ব্লাক ক্যাপসদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫৮ রান। বাংলাদেশের প্রাপ্তি ৫ উইকেট। প্রথম দিন খেলা হয়েছে ৮৭.৩ ওভার।

উইকেটে সবুজের ছোঁয়া। টস জিতে তাই আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। শুরুতে নতুন বলে দারুণ বোলিং উপহার দেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। কিন্তু ইবাদত বোলিংয়ে আসার পর আলগা হয়ে যায় চাপ। পরে তাসকিন-শরিফুলও আর ততটা ভালো করতে পারেননি। প্রভাব রাখতে পারেননি একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজও।

বে ওভালে দিনের শুরুতেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। কেন উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেয়া টম লাথাম ফিরে যান চতুর্থ ওভারে। শরিফুলের ভেতরে ঢোকা বল ল্যাথামের ব্যাটের ভেতরের কানা ছুঁয়ে প্যাডে লেগে যায় উইকেটের পেছনে। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে দারুণ ক্যাচ নেন লিটন। ১ রানে ফেরেন কিউই অধিনায়ক।

প্রথম ৮ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের রান ছিল ২। দুই পাশ থেকে ৪ ওভার করে বোলিংয়ে শরিফুল ও তাসকিন দেন কেবল ১ রান করে। প্রথম ঘণ্টায় দাঁতে দাঁত চেপে উইকেট আঁকড়ে রেখে দ্বিতীয় ঘণ্টায় সুফল পান ইয়াং ও কনওয়ে। প্রথম ঘণ্টায় ১৩ ওভারে রান ছিল কেবল ১৫। দ্বিতীয় ঘণ্টায় ১৪ ওভারে আসে ৫১ রান। লাঞ্চের পর কনওয়ে ও ইয়াং এগিয়ে যেতে থাকেন সাবলিল ঢঙে। ১৩১ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন চোট কাটিয়ে দলে ফেরা কনওয়ে।

এই জুটি ভাঙতে পারছিলেন না কেউ। অবশেষে রান আউটে ভাঙে জুটি। দ্রুত একটি সিঙ্গেল নিতে গিয়ে আবার ফিরে আসেন ইয়াং, ততক্ষণে নাজমুল হোসেন শান্তর থ্রোয়ে বেলস ভাঙেন কিপার লিটন। ১৩৫ বলে ৫২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইয়াং।

এরপর রস টেইলর ও ডেভন কনওয়ে রানের গতি বাড়াতে থাকেন। সেঞ্চুরির দিকে আগাতে থাকেন কনওয়ে। একপর্যায়ে পেয়েও যান কাঙ্খিত তিন স্কোর। ১৮৬ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতক এটি তার। সেঞ্চুরি করতে হাঁকিয়েছেন ১৪টি চার ও একটি ছক্কা।
এই জুটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। জোরে হাঁকিয়েছিলেন রস টেইলর। তবে ঝাঁপিয়ে তা দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত করেন সাদমান ইসলাম। ৬৪ বলে ৩১ রান করে ফেরেন টেস্ট থেকে আগাম অবসরে যাওয়া টেইলর। ভাঙে ১০৯ বলে কনওয়ে-টেইললের ৫০ রানের জুটি।

এরপর নিকোলসের সাথে ভালোই আগাচ্ছিলেন সেঞ্চুরি করা ডেভন কনওয়ে। সাবলিল ছিল কনওয়ের ব্যাটিং। পরীক্ষিত বোলাররা যখন ব্যর্থ কনওয়েকে বিদায় করতে, তখন বল হাতে তুলে নেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তাতেই সফল তিনি। দলীয় ২২৭ রানে সাজঘরে ফেরেন কনওয়ে।

Facebook
Twitter
LinkedIn