২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৭:৫৪

দুই দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা

নুতন করে জিম্বাবুয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল ওয়াশিংটন। জিম্বাবুয়ের কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তাছাড়া, গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালানোর কারণে উগান্ডার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্সের।

আরোপিত ভিসা নিষেধাজ্ঞায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দুই দেশের কোনো কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেননি। তবে তিনি উগান্ডার এলজিবিটি সম্প্রদায় এবং জিম্বাবুয়ের বেসামরিক নাগরিকদের কথা তুলে ধরেছেন। 

উগান্ডায় এলজিবিটিকিউ আইনটি বিশ্বের সবচেয়ে কঠিনতম আইন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। গত মে মাসে আইনটি পাস করা হয়। এ আইনে সমকামীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সমকামিতার ফলে এইচআইভি ছড়ায় বলে আইনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

গত জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট উগান্ডার কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ ছাড়া দেশটিতে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। 

বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত করায় আমি জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে নতুন মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করছি। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২(এ)(৩)(সি) অনুসারে, জিম্বাবুয়েতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করায় জড়িত বা দায়ী ব্যক্তিদের ওপর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

এ ধরনের কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কারচুপি; ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা বা ভোটদানে বাধা দেয়া; রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেয়া; গণতান্ত্রিক, শাসন বা মানবাধিকার সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়োজিত নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলোর (সিএসও) ক্ষমতা সীমিত করা; ভোটার, নির্বাচন পর্যবেক্ষক বা সিএসওগুলোকে হুমকি বা শারীরিক সহিংসতার মাধ্যমে ভয় দেখানো।

Facebook
Twitter
LinkedIn