মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন উদযাপন ও যুদ্ধাপরাধীদের মদত দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি আজ অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম (এসিএমএম) আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে এ দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে করা মামলায় বলা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি (খালেদা জিয়া) রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির এ মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
পরের বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত) অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদন দেন। মামলার অন্য আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মৃত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া জন্মদিন উদযাপনের অভিযোগে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেন আদালত।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীর দিন জাতীয় শোক দিবসে (১৫ আগস্ট) আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন।