উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় আবারও ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সঙ্গে এদেশের জনগোষ্ঠীও স্মার্ট হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জাতির জনকের স্মৃতিবিজড়িত গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। বাংলাদেশকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এর জনগোষ্ঠীও হবে স্মার্ট।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলার মানুষের উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার আওয়ামী লীগ করবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’ যেকোনো সংকটে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে বলেও জানান তিনি।
যৌথসভায় সরকারপ্রধান বলেন, ‘গ্রাম পর্যায়ে মানুষের উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা সবার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করছি। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও আমরা আমাদের দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সে পদক্ষেপ নিয়েছি। কোনো জমি আবাদি থাকবে না। সেজন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী যেন আমরা নিজেরাই সবকিছু উৎপাদন করতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় আছে, মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য যা যা করণীয় সেটা করে যাবে।’
এদিন দুপুর ১টার দিকে দলীয় নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর টুঙ্গিপাড়ায় উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং একটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সরকারপ্রধান।