দেশে করোনার সংক্রমণ জানুয়ারি মাসে কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া নতুন একটি ধরন পেয়েছে চিকিৎসকরা। জেএন-ওয়ান নামের এই ধরনটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও এর ঝুঁকি কম বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
তবে অবেহেলার না করে সবাইকে সচেতন থাকতে বলেছেন তারা। নতুন করে টিকা দেয়াও শুরু হয়েছে। এক কোটি মানুষকে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেবে সরকার।
বিশ্বব্যাপী আবারও বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দেশেও আগের চেয়ে জানুয়ারি মাসে কিছুটা বেড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর ছয় মাসের রিপোর্টে দেখা যায়, ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭৯ জনের পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৪ হাজার ৭৩২ জনের। মারা গেছে ১৪ জন। যার ১০ জনই মারা যায় জুলাই মাসে।
চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ১৪ হাজার ১৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৯১ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। মারা গেছে ৫ জন। গত ৬ মাসের হিসাবে জানুয়ারি মাসে সংক্রমণের হার বেশি।
এরমধ্যে ওমিক্রনের নতুন উপধরন জেএন ওয়ান সংক্রমণ ছড়িয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে এই ধরন। ভারতেও এই নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। ফলে স্থলবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ বলছেন, প্রয়োজন ছাড়া কেউ এখন করোনা পরীক্ষা করছে না। ফলে শনাক্তও পাওয়া যাচ্ছে না। তবে লক্ষণ থাকলে পরীক্ষা করার আহবান জানান আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনা প্রতিরোধে বর্তমানে যেসব টিকা চালু আছে সেটি দিয়েই এই উপধরন থেকে সুরক্ষা মিলবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংষ্থা। তাই আবারও করোনার টিকা কর্মসূচিতে জোর দিচ্ছে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। টিকা নেয়ার পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।