সদ্য প্রকাশিত ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে দেশে প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ৯৮ জন। দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যেখানে ৮ কোটি ১৭ লাখ পুরুষ ও ৮ কোটি ৩৩ লাখ নারী। ১২ হাজার ৬২৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
জনশুমারির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। তার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন। আর নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন। সে হিসেবে দেশে পুরুষের সংখ্যায় নারী বেশি ১৬ লাখ ৩৪ হাজার। এছাড়া দেশে তৃতীয় লিঙ্গের জনসংখ্যা আছে ১২ হাজার ৬২৯ জন।
প্রতি ১০ বছর পর দেশের জনসংখ্যা গণনা করা হয়। কিন্তু করোনার কারণে এবং প্রথম প্রকল্প পরিচালকের অবসরে যাওয়ার ২০২১ সালের জনশুমারি পিছিয়ে যায়। বর্তমান পিডি দিলদার হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর জনশুমারি কার্যক্রমের কাজ হাতে নেন।
দায়িত্ব দেওয়ার পর বিবিএস কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ডিজিটাল শুমারির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের নিদর্শন স্থাপন করেছেন।
‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১’ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষের এক মাসের মাথায় আনুষ্ঠানিকভাবে মোট জনসংখ্যার প্রতিবেদন প্রকাশ করলো বিবিএস।
প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ অনুযায়ী দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যা ১০ বছর আগে অর্থাৎ ২০১১ সালে ছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৭ জন। অর্থাৎ গত ১০ বছরে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন।
শুমারির তথ্যানুযায়ী দেশে জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার কমছে। এবারের শুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২২ শতাংশ। যা ২০১১ সালে বৃদ্ধির হার ছিল ১.৪৬ শতাংশ।
গত ১৫ জুন দেশব্যাপী তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। সারা দেশে একযোগে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন গণনাকারী ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করেন। এর এক মাসের মাথায় জনসংখ্যার তথ্য প্রকাশ করলো বিবিএস।