বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ, দেশে কোন হাহাকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। শনিবার (২৩ জুলাই) বিএআরসি অডিটোরিয়ামে ‘বছরব্যাপী পুষ্টিকর ও উচ্চমূল্যের ফল উৎপাদন শীর্ষক’ এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু জিনিসের দাম বেড়েছে, বা কৃত্তিম সংকট তৈরি করা হয়েছে, তা ব্যবসায়ীদের কারসাজি। সংকট কাটাতে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, করোনা এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমাদের অর্থনৈতি চ্যালেঞ্জর মুখে। পটাশিয়াম সার যেসব দেশ থেকে আমদানি করতে হয়, সেগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এরমধ্যে আবার রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে খাদ্য সংকট হচ্ছে। সারা পৃথিবীর মানুষ সেটি মোকাবিলা করছে।
মন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে সরকার সারের মূল্যহ্রাস অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এ বছরও এখন পর্যন্ত প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গুলশান, ধানমণ্ডি এলাকার লোকজন কিন্তু এর সুফল ভোগ করেনা । প্রান্তিক কৃষকের জন্যই তা করা হয়।
তিনি বলেন, সারাবছর ফল উৎপাদনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য একটি পরিকল্পনা নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি উৎপাদনের পর কীভাবে সুষ্ঠু উপায়ে এসব ফল বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ করা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।
পরে সেমিনারে কৃষিতে বিশেষ অবদান রাখায় সুপ্রীম সিডস নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে কৃষিমন্ত্রী স্বর্ণপদক তুলে দেন।
সেমিনারে বক্তারা বছরব্যাপী ফল উৎপাদনে বেশি-বেশি প্রশিক্ষণ ও নতুন-নতুন ফলের দেশীয় জাত উদ্ভাবনে গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ একাডেমি অব অ্যাগ্রিকালচারের (বিএএজি) ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ড. মেহেদী মাসুদ সেমিনারে বক্তব্যে রাখেন।