দ্বিতীয় দফায় কঠোর লকডাউনের ঘোষণা হয়েছে। ১৪ জুলাই পর্যন্ত এই লকডাউনের সময় বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথম ৭ দিন লকডাউনের আজকে ৬ষ্ঠ দিন। এই কঠোর লকডাউনের মধ্যেও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে যেন জনস্রোত শুরু হয়েছে। গণপরিবহণ না থাকায় বিড়ম্বনা মাথায় করেই ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে নানাভাবে ভেঙে ভেঙে শিমুলিয়ায় ভিড় করছেন মানুষ। ফেরিতে গাদাগাদি করে তারা চলেছেন দক্ষিণের জেলাগুলোতে। ভোর সাড়ে ৬টায় দেখা গেছে এমন দৃশ্য।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গমুখী মানুষ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীর চাপ থাকলেও ৮টি ফেরি চলাচল করায় ফেরিতে উঠতে সমস্যা হচ্ছে না কারও। ফেরিতে পারাপার করছেন তারা। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় যাত্রীর চাপ আজকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে ঘাট এলাকায়। ঘাট ও ঘাটের প্রবেশমুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। চেকপোস্ট থেকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘাটে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। সকাল থেকে ঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি থাকলে যানবাহনের আধিক্য ছিল বেশি।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে বর্তমানে ৮টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাটে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্নভাবে যাত্রী ঘাটে আসছে। ঘাট থেকে বেশ যাত্রী ফেরীতে উঠছে। তবে যাত্রী যারাই আসছে সাথে সাথে ফেরীতে উঠতে পারছে এবং বাঙলাবাজার পার হয়ে যাচ্চে।
লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন জানান, শিমুলিয়া মোড়ে ও ঘাটের প্রবেশমুখে চেকপোস্ট রয়েছে। এদিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর এলাকায়ও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করছে। ঘাটেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। লোকজনের চাপ নেই বললেন তিনি।