২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৭:৩২

ধান কাটার শ্রমিক মিলছে না

কয়েক দফা বৃষ্টি ও শ্রমিক সংকটের কারণে মাঠে থাকা পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাঁপাইনবাগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা ও মাগুরার চাষীরা। বেশি মজুরি দিয়েও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক। বৃষ্টিতে ভেজায় এবং মাটিতে পড়ে যাওয়ায় বিপুল পরিমাণ পাকা ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় চাষীরা। 

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর, সাদেকপুর ও আগানগরসহ ৩টি ইউনিয়নের জোয়ানশাহী হাওরে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। সম্প্রতি ঘুর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ায় জমির বোরো ধান নুয়ে পরে। এতে অধিকাংশ ধানই নষ্ট হয়েছে। 

কৃষকরা জানান, শ্রমিক সংকটের কারণে যেমন ধান কাটা যাচ্ছে না, তেমনি জমি নিচু হওয়ায় ধান কাটা ও মাড়াইয়ের আধুনিক যন্ত্রও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। জমিতেই নষ্ট হচ্ছে ধান। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের সহযোগিতা করা হবে।  

এদিকে, কয়েকদিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে আসা ঢলে পুনর্ভবা নদীর পানি বেড়ে চাঁপাইনাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ডুবে গেছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিঘা জমির বোরো ধান। ধান কাটার মৌসুমে এমন হওয়ায় বিপাকে সেখানকার কৃষক। শ্রমিক মজুরি তিনগুন বেড়ে যাওয়ায় এবং শ্রমিক যথেষ্ট না পাওয়ায় দিশেহারা তারা। 

স্থানীয়রা জানালেন, বিলকুইজান খালে বেড়িবাঁধের অভাবে ছয় বছর ধরে এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সীমান্তবর্তী এলাকার কয়েক কৃষক। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে এ বিষয়ে বার বার সহযোগিতা চাওয়া হলেও কোন প্রতিকার মিলেনি।

তবে জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। 

সংকট কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও প্রশাসন। 

অন্যদিকে, মাগুরায় বৃষ্টির কারণে মাঠের পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। কেটে রাখা ধান ও বিচালী বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। অনেক ধান নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন চাষীরা।  

জেলায় এ বছর ৩৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn