বাংলাদেশ ক্রিকেটের তিন সংস্করণের নতুন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সোমবার (১২ ফেব্র“য়ারি) বিসিবির বোর্ড সভা শেষে এই ঘোষণা দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এর মধ্যে দিয়ে আবারও টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে এক অধিনায়ক যুগে ফিরল বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন আগামী এক বছর তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশ দলের অধিনাক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করবেন।
তবে এর আগেও অধিনায়কের দায়িত্ব সামলেছেন শান্ত। নিয়মিত অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে একাধিক সময়ে লাল-সবুজের হয়ে টস করেছেন শান্ত। সেই সংখ্যাটাও একেবারে কম নয়। এখন পর্যন্ত সব সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশকে ১১ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত।
২০১৭ সাল থেকে তিন সংস্করণে তিন অধিনায়ক ছিলো বাংলাদেশ দলে। এরপর গতবছর সাকিব আল হাসানকে তিন সংস্করণেই অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফি বিন মর্তুজার সহ-অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। প্রথম টেস্টে মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় সাকিবকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়। সেটাই ছিল নেতা সাকিবের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করায় পরের সিরিজেই তাকে ভারমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দেয় বিসিবি।
প্রথম দফায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় দুই বছর। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর অধিনায়কত্ব¡ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় এই অলরাউন্ডারকে। এর ৬ বছর পর ২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে আবারও নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। একই বছরে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সাদা পোশাকের অধিনায়কের দায়িত্বও পান তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালে আইসিসি কর্তৃক এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে দ্বিতীয় দফায় নেতৃত্ব হারান।