অব্যাহত দরপতনের প্রেক্ষিতে নতুন সার্কিট ব্রেকার ২ শতাংশ আগামীকাল বুধবার থেকে কার্যকর করবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) আগারগাঁ বিএসইসি’র কনফারেন্স রুমে প্রতিষ্ঠানটির কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এই কথা জানান।
শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামীকাল বুধবার (০৯ মার্চ) থেকে সার্কিট ব্রেকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী শেয়ার দর সর্বোচ্চ বাড়তে পারবে ১০ শতাংশ। আর শেয়ার দর সর্বোচ্চ কমতে পারবে ২ শতাংশ পর্যন্ত।
তিনি বলেন, স্ট্যাবলাইজেশন ফান্ড থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য আইসিবিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইসিবি ইত্যোমধ্যে এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর যে ২০০ কোটি টাকা করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের কথা রয়েছে, বর্তমানে তা বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে উৎসাহ দিচ্ছে। সেজন্য তিনি বিএসইসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, যে সকল ব্যাংক এখনও ফান্ড গঠন করেনি। তাদেরকে ফান্ড গঠন করার জন্যও বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দিয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। পতন ঠেকাতে ওই বছরের ১৯ মার্চ খায়রুল হোসেন কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়।
ফ্লোর প্রাইস আরোপের আগে ১৮ মার্চ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স নেমেছিল ৩ হাজার ৬০০ পয়েন্টে। ফ্লোর প্রাইসের কারণে নির্ধারিত সীমার নিচে শেয়ারের দাম না নামায় ২৫ মার্চ ডিএসইএক্স সূচকটি বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার পয়েন্টে।
এক বছরেরও বেশি সময় পর শিবলী রুবাইয়াত কমিশন প্রথম দফায় গত বছরের ৭ এপ্রিল ৬৬টি কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের (পতনের সর্বনিম্ন সীমা) নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর গত ৩ জুন আরও ৩০ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা তুলে দেওয়া হয়। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হলেও ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম একদিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে বলে নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়। আর দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা একই রকম ১০ শতাংশ রাখা হয়। পরবর্তীতে বাজার চাঙ্গাভাবে ফিরলে সেই ব্যবস্থাও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।