নর্দার্ণ আয়ারল্যান্ড ২৬ ডিসেম্বর থেকে নতুন ছয় সপ্তাহের করোনাভাইরাস লকডাউন এবং ওয়েলস ২৮ ডিসেম্বর থেকে তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে। স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ড লকডাউন না দিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ বিবেচনা করছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ইংল্যান্ডে তৃতীয় লকডাউন এড়ানো যাবে বলে তিনি আশাবাদী। তবে সংক্রমণের হার সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খুবই বেড়েছে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।
গত সপ্তাহে প্রতিটি অঞ্চলে ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে, এনএইচএস ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য চাপের মধ্যে রয়েছে। রয়্যাল কলেজ অব ইমার্জেন্সি মেডিসিনের প্রেসিডেন্ট ডাঃ ক্যাথরিন হেন্ডারসন বলেছেন, ভাইরাস আটকানোর জন্য ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডকে ‘যা কিছু প্রয়োজন’ করা দরকার। তিনি মূলত ‘সম্পূর্ণ লকডাউন’ বুঝাতে চেয়েছেন।
ইংল্যান্ড তৃতীয় লকডাউনের মুখোমুখি হবে কি না? জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা খুব আশা করছি যে, এরকম কিছু এড়াতে সক্ষম হব। তবে বাস্তবতা হলো, সংক্রমণের হার গত কয়েক সপ্তাহে অনেক বেড়েছে।
আশঙ্কা বাড়ছে, ক্রিসমাসের পরে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ অংশগুলোতে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ কঠোরতম টিয়ার-৪ প্রয়োজন হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সচেতনতার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ২৩ থেকে ২৭ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য জুড়ে ক্রিসমাসের সময় বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে। এটাকে স্বপ্রণোদিত ভাবে নিজ নিজ দায়িত্বে কাজে লাগাতে হবে। ক্রিসমাসের সময় রোগের প্রবণতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের বয়সী আত্মীয়-স্বজন সম্পর্কে গভীর চিন্তাভাবনা করার জন্য সকলকে তিনি উৎসাহিত করেছেন। তাদের ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে পরের বছর প্রকৃত পরির্তন আশা করছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে এক টুইট বার্তায় বরিস জনসন ক্রিসমাস বুদবুদ তথা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়ির বাইরের লোকদের সাথে আজ থেকে যোগাযোগ কমিয়ে আনার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করেছেন।
বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা স্যার কায়ার স্টারমার বলেছেন, তৃতীয় লকডাউন কেউ চায় না, তবে ইংল্যান্ডের টিয়ার সিস্টেম যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ক্রিসমাসে কঠোরতর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ওয়েলস সরকারের ক্রিসমাসের আনন্দ তিনটির পরিবর্তে দুটি পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্তটি সঠিক পদক্ষেপ।