দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত সহজ করতে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেতুর নাম পদ্মা সেতুই থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার সকালে গণভবনে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি। এসময় ওবায়দুল কাদের বিএনপিসহ যারা বিরোধিতা করেছে তাদের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলেও জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা দুটো সামারি নিয়ে এসেছিলাম, একটি সামারি উদ্বোধন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) তারিখ দিয়ে সই করেছেন ২৫ জুন। আরেকটি সামারি, সেটাতে তিনি স্বাক্ষর করেননি”।
“তিনি (প্রধানমন্ত্রী) জানিয়েছেন, ‘পদ্মা সেতু পদ্মা নদীর নামেই হবে। এটা আমি অন্য কারো নামে দেব না। বঙ্গবন্ধু পরিবারের কারো নামেও হবে না।”
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এক দশক ধরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে এই সেতুর জন্য। এটি দেশের সবচেয়ে বড় সেতু। পদ্মা সেতুর (মূল সেতু) দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। দুই প্রান্তের উড়ালপথ (ভায়াডাক্ট) ৩ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার।
সব মিলিয়ে সেতুর দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এছাড়া পদ্মা সেতু দিয়ে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াত সহজ হবে, সময়ও কমবে। চলাচল সহজ করার পাশাপাশি অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে পদ্মা সেতু।
সমীক্ষা বলছে, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ হারে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধি পাবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ।
এরই মধ্যে পদ্মা সেতুতে যানবাহন পারাপারের জন্য টোলের হার নির্ধারণ করেছে সরকার। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে বড় বাসে ২ হাজার ৪০০ টাকা এবং মাঝারি ট্রাকে লাগবে ২ হাজার ৮০০ টাকা।