২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৪:২৬
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৪:২৬

নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে বাবা-মেয়ের মৃত্যু, শঙ্কায় মা

নারায়ণগঞ্জে ঘরের ভেতর জমে থাকা গ্যাস থেকে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। এরমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দীপায়ন সরকার (৩৫) ও তার মেয়ে দিয়া রানী সরকার (৫) মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও চিকিৎসাধীন মা পপি সরকার (২৮)। শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর সরদার বাড়ী এলাকায় আনোয়ার হোসেনের ভাড়া বাসায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দগ্ধ পপি সরকারের বড় বোনের জামাতা সুসেন সরকার জানান, শুক্রবার মধ্য রাতে গ্যাস লাইটার দিয়ে মশার কয়েল ধরাতে গেলে রুমের মধ্যে আগুন লেগে যায়। এসময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে আগুন নিভিয়ে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। ডাক্তারের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, দীপায়নের শরীরের ৪৮ শতাংশ, দিয়ার ৪০ শতাংশ ও পপির ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

মূলত তাদের মুখমন্ডল ও শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। যার জন্য শনিবার রাত ১০টার দিকে দীপায়ন ও দিয়া মারা গেছে। পপি এখনও আশঙ্কাজনক বলেছে ডাক্তার। সুসেন সরকার বলেন, গ্রামে খুব কষ্টে জীবন যাপন করছিল। যার জন্য আমি তাদের বলি শহরে আসলে স্বামী স্ত্রী দুইজনের কাজের ব্যবস্থা করে দিবো। মেয়েটাকে এখানে ভালো স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেবো। এজন্য এখানে বাসাও ঠিক করে দেই। যার জন্য ১০ দিন আগে গ্রাম থেকে পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জে আসে। কয়েক জায়গায় কাজের জন্য কথাও চলছিল। এর মধ্যে কীভাবে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না। এ বলেই তিনি কান্না শুরু করেন। কান্না থামিয়ে তিনি বলেন, এক তলা ভবনের সারি সারি রুমের মধ্যে এক রুমের একটি বাসা নিয়েছি। পাশেই রান্না ঘর ছিল। হয়তো রান্না শেষে গ্যাস ভালো ভাবে বন্ধ করেনি। যার জন্য গ্যাস লিকেজ হয়ে ঘরের ভেতর গ্যাস জমে ছিল। যখনই গ্যাস লাইটটা দিয়ে কয়েল ধরাতে গেছে তখনই আগুন জ্বলে উঠছে। ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, শনিবার রাতে বাবা ও মেয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। স্ত্রীর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তাদের লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn