২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৭:৪১
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৭:৪১

নারী নেতৃত্বকে প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা লাভে আরও বেশিসংখ্যক নারীকে সুযোগ দিতে সবার মানসিকতা পরিবর্তনে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি, বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্বের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অষ্টম ‘বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েবিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস’। দিবসটি উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।   

তিনি বলেন, ‘এটি দুর্ভাগ্যজনক যে নারীরা বিশ্বব্যাপী মাত্র ১২ শতাংশ বিজ্ঞানী এবং ৩০ শতাংশ গবেষকদের প্রতিনিধিত্ব করেন। আমাদের অবশ্যই মানসিকতা এবং শিক্ষার পরিবেশের প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। যাতে আরও বেশিসংখ্যক নারী বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা লাভ করতে পারে।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নিয়োজিত নারী ও মেয়েদের মনে রাখতে হবে যে, তারা একা নন। তারা যে পদক্ষেপগুলো নেন, তা বিশ্বজুড়ে তাদের বোনদের জন্য আরও দ্বার উন্মুক্ত করতে সাহায্য করবে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের নারীরা গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে খুব ভালো করছে। কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান, শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে গবেষণার জন্য মেয়েদের বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের উৎসাহিত করার জন্য সরকার সারা দেশে ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখান থেকে একজন মেয়ে এবং একজন ছেলে উদ্যোক্তা ২০০ ধরনের সেবা প্রদান করছে।’  
বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশি ছেলেমেয়েদের জন্য সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী বেশকিছু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ছাড়া হাইটেক পার্কগুলো একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করেছে, যাতে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও উন্নতি করতে পারে। 

‘আজ আমরা সেই নারী ও মেয়েদের সাফল্যগুলো উদ্‌যাপন করি যারা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন’, বলেন শেখ হাসিনা।  

২০১৫ সালে জাতিসংঘে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক দিবস শুরু হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল বিজ্ঞানে নারীদের অবদান এবং কৃতিত্ব উদ্‌যাপনের মাধ্যমে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত (এসটিইএম) ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের ব্যবধান দূর করা।

Facebook
Twitter
LinkedIn