২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:২৫
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:২৫

নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দারুণ শুরু বাংলাদেশের

স্পিনে শুরু, পেসে শেষ। নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ৬০ রানে গুড়িয়ে দেয়ার পর জয়ের রাস্তা খুব মসৃণ ছিল বাংলাদেশের। সে লক্ষে শুরুতে হোঁচট খেলেও লক্ষ স্পর্শ করতে এরপর খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের। নিউজিল্যান্ডকে এক প্রকার উড়িয়েই টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ।

বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে ১৬.৫ ওভারে ৬০ রানে অল আউট নিউজিল্যান্ড। জবাবে ১৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টাইগারদের এটি প্রথম জয়। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল মাহমুদউল্লাহ ব্রিগেড।

সহজ লক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বাংলাদেশেরও খারাপ ছিল। সাত রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন মোহাম্মদ নাঈম। ম্যাককঞ্চির বলে সহজ ক্যাচ দেন নিকোলসের হাতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম বলেই উইকেটের স্বাদ পান ম্যাককঞ্চি। ৬ বলে ১ রান সম্বল নাঈমের।

টিকে থাকতে পারেননি আরেক ওপেনার লিটন দাসও। বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেলের ঝুলিয়ে দেয়া বলে ড্রাইভ করার চেষ্টা করেন লিটন। বল টার্ন করে ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে যায় কিপারের গ্লাভসে। ফলো থ্রুতে বাইরে আসে লিটনের পা। কিপার টম ল্যাথাম ফেলে দেন বেলস। ৩ বলে ১ রানে আউট হন লিটন।

সাত রানে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশকে তখন হাল ধরার চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম ও সাকিব আল হাসান। এই জুটিতে আসে ৪২ বলে ৩০ রান। দলীয় ৩৭ রানে আউট হন সাকিব। বেশ থিতু হয়ে গিয়েছিলেন তিনি উইকেটে। ব্যাটিং প্রতিকূল উইকেটে বেশ ভালো ব্যাট করছিলেন। দলের রান বাড়ানোর কাজটি করছিলেন তিনিই। কিন্তু কাজ শেষ করে ফিরতে পারলেন না।
রাচিন রবীন্দ্রর অফ স্টাম্পের বাইরে জোরের ওপর করা ডেলিভারি একটু জায়গা বানিয়ে কাট করার চেষ্টা করেন সাকিব। একটু বাড়তি লাফিয়ে বল সাকিবের ব্যাটের কানা নিয়ে আশ্রয় নেয় কিপারের গ্লাভসে। ৩৩ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। ৯.৫ ওভারে বাংলাদেশের উইকেট ৩৭, ৩ উইকেটে।

জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু অবশ্য সেরেছেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক। ২৬ বলে ১৬ রানে মুশফিক ও ২২ বলে ১৪ রানে মাহমুদউল্লাহ ছিলেন অপরাজিত।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট নেন প্যাটেল, ম্যাককঞ্চি ও রবীন্দ্র।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। মাত্র ৬০ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। যা তাদের টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে সর্বনিম্ন স্কোর। আগেরটি ছিল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২০১৪ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে।

পুরোা ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের হয়ে দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন মাত্র দুজন। টম লাথাম ও হেনরি নিকোলস দুজনই করেন সমান ১৮ রান। বাকিরা ছিলেন যাওয়া-আসার মিছিলে। প্রথমে স্পিন আক্রমণে নাস্তানাবুদ হওয়া নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে যায় মোস্তাফিজের পেস ঝলকে।

২.৫ ওভারে ১৩ রানে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দেন সাকিব। তিনি পান দুটি উইকেট। নাসুম দুই ওভারে দেন মাত্র ৫ রান। তিনিও পান দুটি উইকেট। দুই ওভারে সাত রানে সাইফউদ্দিন তুলে নেন দুটি উইকেট। ৪ ওভারে ১৫ রানে এক উইকেট পান স্পিনার মেহেদী হাসান।

আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এরপর ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর হবে যথাক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচ।

Facebook
Twitter
LinkedIn