দ্বিতীয় দিনে শুরুটা করেছিলেন শরিফুল ইসলাম। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণি জাদু। আর মুমিনুল হক শেষটা মুড়ে দেওয়ায় বেশিদূর যেতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের স্কোর। ৫ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা কিউইরা প্রথম ইনিংসে ১০৮.১ ওভারে অলআউট হয়ে গেছে ৩২৮ রানে।
অর্থাৎ, মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ৭০ রান যোগ করতে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে কিউইরা। যার মধ্যে টানা তিনটিই মিরাজের শিকার। নিউজিল্যান্ডের পেস নির্ভর উইকেটে স্পিনারদের সাফল্য পেতে সংগ্রাম করতে হয়। মিরাজকেও পরীক্ষা দিতে হয়েছে। অবশেষে সাফল্য পেয়েছেন ডানহাতি স্পিনার। তাও একটি নয়, টানা তিনটি উইকেট নিয়েছেন! তার ঘূর্ণিতে উইকেট উৎসবে মেতেছিল বাংলাদেশ।
কাইল জেমিসনকে ফিরিয়ে মিরাজের উইকেট উদযাপন শুরু। তার ঘূর্ণিতে লং অনে সাদমান ইসলামের হাতে ধরা পড়েন কিউই পেসার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২০ বলে করন ৬ রান। টিম সাউদিকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি। মুমিনুলের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। যাওয়ার আগে সাউদি ১৬ বলে করেন ৬ রান। মিরাজের উইকেট উৎসব এখানেই থামেনি। নিল ওয়াগনারকে তো রানের খাতাই খুলতে দেননি তিনি। লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করে ওয়াগনারকে ফেরান বাংলাদেশি স্পিনার।
একপ্রান্তে উইকেট ঝরতে থাকলেও অন্যপ্রান্তে অবিচল ছিলেন হেনরি নিকোলস। ৩২ রান নিয়ে দিন শুরু করা এই ব্যাটার হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেন। দ্বিতীয় দিনে কিউইদের রান বাড়িয়ে নেওয়ার পথে তিনিই রেখেছেন বড় ভূমিকা। অবশেষে তার প্রতিরোধ ভাঙতে পারেন পার্টটাইমার মুমিনুল। তাকে ছেঁটে কিউইদের অলআউট করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মুমিনুলের বলে সাদমানের হাতে ধরা পড়লে শেষ হয় নিকোলসের চমৎকার ইনিংস। ১২৭ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ৭৫ রান করেন তিনি।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে প্রথম সাফল্য এসেছিল শরিফুলের হাত ধরে। প্রথম দিনেও প্রথম উইকেট এসেছিল এই শরিফুলের সৌজন্যে। দ্বিতীয় দিনের সকালেও আনন্দ উদযাপন হলো তার কারণেই। রাচিন রবীন্দ্রকে আউট করে ভালো শুরু এনে দেন দলকে।
প্র্রথম দিনের শেষ বিকেল রাঙিয়ে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেও ধরা দেয় সাফল্য। শরিফুলের বলে আউট হয়ে যান রবীন্দ্র। সাদমানের হাতে ধরা পড়ার আগে এই অলরাউন্ডার ১৮ বলে করেন ৪ রান।
এর আগে প্রথম দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ২৫৮ রান। প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ডেভন কনওয়ে। তিনি খেলেন ১২২ রানের ইনিংস। হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন উইল ইয়ং (৫২)।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার শরিফুল। বাঁহাতি পেসার ২৬ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। মিরাজও পেয়েছেন ৩ উইকেট, ৩২ ওভারে তার খরচ ৮৬ রান। অন্যদিকে পার্টটাইম বোলার মুমিনুলও সাফল্যের সাগরে ভেসেছেন। ৪.১ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন কনওয়ে ও নিকোলসের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট দুটি। এবাদত হোসেন পেয়েছেন ১ উইকেট।