২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৪:৫৯
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৪:৫৯

নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ

আজ শনিবার (২৮ মে) নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। ‘মা ও শিশুর জীবন বাঁচাতে, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হবে যেতে’ প্রতিপাদ্যে প্রতি বছরের মতো এই দিনে দিবসটি পালন করা হবে।

গেল বছর করোনার কারণে সীমিত আকারে পালিত হয় দিবসটি। এবার সংক্রমণ কমে আসায় নানা আয়োজনে এটি পালন হবে।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর আজিমপুরে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (এমসিএইচটিআই), দেশব্যাপী জেলা পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৮ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত বিশেষ সেবা দেওয়া হবে।

১৯৯৭ সাল থেকে ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করে আসছে বাংলাদেশ সরকার।

জাতিসংঘ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, শিশু জন্ম দিতে গিয়ে বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ নারী মারা যান। আর অন্ততপক্ষে সাত মিলিয়ন নারী প্রসব পরবর্তীতে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। এছাড়া আরও ৫০ মিলিয়ন নারী প্রসবের পর নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় ভোগেন।

মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে প্রথম সন্তান প্রসবের পর তিন বছর বিরতি নেওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। 

একই সঙ্গে গর্ভবতী মায়েদের ভারী জিনিস বহন না করা, নিয়মিত টিকা নেয়ার পাশাপাশি অ্যান্টিনেটাল কেয়ার বা পোস্ট নেটাল কেয়ার নেয়া এবং বাড়িতে প্রসবকালীন জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত ক্লিনিক ও হাসপাতালে নেয়ার জন্য স্বজনদের প্রতি আহ্বান অধিপ্তরের। পাশাপাশি গর্ভকালীন সময়ে সুষম খাবার ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রসূতি ও তার অনাগত সন্তানের জন্য খুবই প্রয়োজন।

এদিকে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১২ হাজার নারী গর্ভধারণ ও গর্ভধারণ সংক্রান্ত কারণে মারা যায় বলে ডব্লিউএইচও জানায়।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, ২০২০ সালে ৮৮৪ জন মায়ের মৃত্যু হয়েছিল। গত বছর তা কমে ৭৮৮ জনে নেমেছে।

এছাড়া বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, ২০১০ সালে প্রতি লাখে মাতৃমৃত্যু ছিল ১৯৪ জন। এক দশকে তা কমে ১৬৫ জনে নেমে এসেছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn