২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৮:২৮

নির্বাচন একটা গেইম: মাহিয়া মাহি

সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে গেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে লড়েছিলেন তিনি। তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। ওই নির্বাচনী আসনের ১৫৮টি কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাহি ভোট পেয়েছেন মাত্র ৯ হাজার ৯। ওমর ফারুক চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার।

নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর প্রথমবার ফেসবুক লাইভে এসে কথা বললেন মাহিয়া মাহি। সোমবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে তিনি বলেন, ‘সবাই নিশ্চয়ই ভাবছেন আমার প্রচণ্ড মন খারাপ। হ্যাঁ, কিছুটা মন খারাপ তো হবেই। কারণ নির্বাচন একটা গেইম, সেই গেইমে আমি হেরে গেছি। মন খারাপ কিছুটা, কিন্তু ওই রকম লেভেলের না। কারণ প্রত্যেকটা সিচুয়েশনেই মাথায় রাখি যে, নেগেটিভ কিছু হতে পারে। তাই প্রত্যেকটা সিচুয়েশনের জন্যই আমি আসলে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম।’ 

এ সময় মাহি তাঁর ইশতেহারে বলা কিছু উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের উদ্যোগ নিতে নতুন সংসদ সদস্যকে (এমপি) আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ইশতেহারে যেমনটা বলেছিলাম, নারীদের প্রত্যেকটা ঘর হবে কর্মসংস্থান, তরুণরা হবে উদ্যোক্তা। তো এই কাজটা আমি বড় পরিসরে কতটুকু করতে পারব জানি না! কারণ এই কর্মসংস্থানের বিষয়ে সরকারিভাবে যতটা উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব, তা ব্যক্তিগতভাবে আসলে একটু চ্যালেঞ্জিং। তারপরও ব্যক্তিগত উদ্যোগে যথেষ্ট করার চেষ্টা করব। এবং আমার ভীষণ ইচ্ছে ও প্রতিশ্রুতি ছিল—বরেন্দ্রভূমির রাস্তাঘাট নিয়ে। সারা বাংলাদেশে যেখানে রাস্তাঘাট এত উন্নত, সেখানে আমার তানোর-গোদাগাড়ীতে রাস্তাঘাটের যে বেহাল দশা, এখনও বৃষ্টি হলে হাঁটু কাদা হয়ে যায়। এখনও গরুর গাড়ি চলার মতো অবস্থা। তো এই রাস্তাঘাট ও বরেন্দ্রভূমির পানির যে সংকট, মোটর সমস্যা—যিনি নতুন এমপি হয়েছেন তাঁকে অনুরোধ করব এই বিষয়গুলোতে ফোকাস করতে। তিনি গত ১৫ বছরে যে উন্নয়নমূলক কাজ করেননি, এবার ৫ বছরে যেন এটা করেন। তাঁর যে জনপ্রিয়তা একেবারে শূন্যের কোটায় চলে এসেছিল, সেটা তিনি যেন এই ৫ বছরে কাটিয়ে ওঠেন। তা না হলে আমি কিন্তু মাঠে আছি, আগামী নির্বাচনে আবারও দেখা হবে আপনার সাথে।’

Facebook
Twitter
LinkedIn