ফরাসি লিগ ওয়ানে স্ট্রাসবার্গের বিপক্ষে ৪-০ গোলের বড় জয়ের আনন্দ নিয়েই বড়দিনের ছুটিতে যায় প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। তবে আনন্দটা ম্লান হয়ে গেছে কোচ টমাস টুখেলের। বরখাস্ত হয়েছেন এই জার্মান কোচ। ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তার স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন আর্জেন্টাইন কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো দেয়নি পিএসজি।
পাঁচ বছর টটেনহ্যাম হটস্পারে কাটিয়ে গত নভেম্বরে বরখাস্ত হন পচেত্তিনো। দলকে চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে তুললেও চাকরি বাঁচাতে পারেননি তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনে পচেত্তিনো ২০০১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত খেলেছেন পিএসজিতে। এবার কোচ হিসেবে প্যারিসে নতুন ঠিকানা হতে চলেছে ৪৮ বছর বয়সী সাবেক আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের।
২০১৮ সালে পিএসজির দায়িত্ব নিয়েছিলেন টমাস টুখেল।
দুটি লীগসহ তার অধীনে পিএসজি জিতেছে ৬টি শিরোপা। ক্লাবটিকে প্রথমবারের মতো গত মৌসুমে নিয়ে গিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে যায় পিএসজি। ফরাসি সংবাদমাধ্যম বলছে, টুখেল বরখাস্ত হয়েছেন বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে। একটি ফরাসি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে টুখেল বলেছিলেন, ‘নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে একসঙ্গে খুশি রাখা বেশ কঠিন। দুই তারকাকে সামলাতে তাকে কোচের চেয়ে বেশি ক্রীড়ামন্ত্রী মনে হয়।’ টুখেলের দাবি তার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তবে তা আমলে নেয়নি পিএসজি।
ইএসপিএন অবশ্য লিখেছে ভিন্ন কথা। তারা এক প্রতিবেদনে লিখেছে, টুখেলের সঙ্গে পিএসজির দূরত্বের শুরু গত অক্টোবরে। দলবদলের সময় এডিনসন কাভানি, থিয়াগো সিলভাসহ চার ফুটবলারকে ফ্রি ট্রান্সফারে ছেড়ে দেয়ায় নাখোশ ছিলেন টুখেল। তখন টুখেল বলেছিলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিয়েছি। সংখ্যাটা আমার কাছে বেশি মনে হয়েছে। গত মৌসুমে আমরা যা করেছিলাম সেটা এই মৌসুমে না-ও হতে পারে। এবারের দলটা গতবারের মতো শক্তিশালী নয়। দলের কাছে প্রত্যাশার পারদ উঁচুতে না চড়ানোই ভালো।’ টুখেলের এমন মন্তব্যে চটে যান পিএসজির ক্রীড়া পরিচালক লিওনার্দো। বলেন, ‘তার (টুখেল) এমন মন্তব্য মোটেও পছন্দ হয়নি। ক্লাব তার সঙ্গে একমত নয়। কেউ যদি এখানে সুখে না থাকে সে কথা বলতে পারে। যদি আপনি (টুখেল) এখানে থাকতে চান তাহলে ক্লাবের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে হবে।’
বরখাস্ত হওয়ার আগে পিএসজিকে ফরাসি লিগ ওয়ান পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে রেখে গেছেন টুখেল। শীর্ষে থাকা অলিম্পিক লিঁওর (৩৬) চেয়ে এক পয়েন্ট কম পিএসজির। চ্যাম্পিয়নস লীগের শেষ আটেও উঠেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।