‘দেখো, কাকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলে!’ চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স দিয়ে যেন পিএসজিকে এমনটাই বুঝাতে চাইছেন নেইমার। নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল তার, গুঞ্জন ছিল তাকে ছেড়েই দিতে চায় প্যারিসিয়ানরা। তার জবাবটা মাঠেই দিচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। আগের ম্যাচে করেছিলেন এক গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছিলেন আরও তিনটি। গত রাতে মঁপেলিয়ের বিপক্ষেও ফর্মটা ধরে রাখলেন, করলেন জোড়া গোল। তাতেই পিএসজি পেল ৫-২ ব্যবধানের বিশাল জয়।
নিজেদের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে শুরু থেকেই বলের দখলে আধিপত্য ছিল তাদের। তবে ফিনিশিংয়ের দুর্বলতায় ক্রিস্তোফ গালতিয়েরের শিষ্যদের গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচের ৩৯ মিনিট পর্যন্ত। ১৭ মিনিটে লিওনেল মেসি দারুণ এক বল বাড়িয়েছিলেন নেইমারকে, তবে প্রথম ছোঁয়ায় গড়বড় পাকিয়ে বলটা প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের হাতে তুলে দেন নেইমার।
এর কিছু পরই ভিতিনিয়ার পাস থেকে নেইমার ছিলেন গোলের খুব কাছাকাছি, তবে দুরূহ কোণ থেকে শট নিয়ে গোলটা আর পাননি তিনি।
মঁপেলিয়ে গোলরক্ষক ইয়োনাস অমলিনও ফর্মে ছিলেন দারুণ, মেসির দুর্দান্ত ফ্রি কিক ঠেকিয়েছেন, এর একটু পর একটা নিচু শটও ফিরিয়েছেন তিনি। প্রথমার্ধে ঠেকিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপের পেনাল্টিও। সবকিছুর মিশেলে পিএসজির অপেক্ষাটা বড় হয়েছে ৩৯ মিনিট পর্যন্ত।
মঁপেলিয়ের চোয়ালবদ্ধ রক্ষণ ভাঙে নিজেদের দোষেই। এমবাপের নিচু ক্রস নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন সাকো৷ স্বস্তির গোলটা পায় পিএসজি। স্বাগতিকদের পরের গোলটার ‘অবদানও’ সাকোরই। বক্সে তার হ্যান্ডবলের কারণেই পেনাল্টি পায় পিএসজি। গোলরক্ষক অমলিনকে বোকা বানিয়ে গোল করেন নেইমার।
তৃতীয় গোলটা বিরতির পরেই পায় পিএসজি৷ প্রথমার্ধে অতিমানব হয়ে ওঠা অমলিন করে বসেন শিশুসুলভ ভুল। তার নেওয়া গোল কিক রুখে দেন এমবাপে, এরপর আশরাফ হাকিমি হয়ে নেইমারের পায়ে আসে বল, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডও কোনো ভুল করেননি।
ঘণ্টার কাটা পেরোনোর আগে মঁপেলিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল বৈকি! ওয়াহির শট ঠেকালেও জিয়ানলুইজি ডনারুমা বলটা আয়ত্বে আনতে পারেননি পুরোপুরি। তা চলে যায় খাজরির কাছে, সহজ ট্যাপইনে সফরকারীদের ম্যাচে ফেরান তিনি।
তবে তাদের প্রত্যাবর্তনের আশা শেষ হয়ে যায় একটু পরেই। বক্সে বল বাড়িয়েছিলেন নেইমার, তা বিপদমুক্ত করলেও এমবাপের নৈপুণ্যে তিন গোলের ব্যবধান ফিরে পায় পিএসজি। শেষ সময়ে রেনাতো সাঞ্চেসের কল্যাণে পঞ্চম গোলের দেখা পায় পিএসজি। তবে যোগ করা সময়ে তা শোধ করে মঁপেলিয়ে। ফলে তিন গোলের ব্যবধানে জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের।