রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রেলপথ উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জের ছাতক পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। সুনমাগঞ্জ থেকে নেত্রকোনা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করা হবে। এতে সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ ভাটি অঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াত ব্যবস্থা আরও সহজ হবে।
শুক্রবার বিকালে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে রেল স্টেশনের প্লাটফর্ম উঁচুকরণ, দুই পাশের স্থান বর্ধিতকরণ, স্টেশন বিল্ডিং রিনোভেশন, এক্সেস কন্ট্রোল এবং প্লাটফর্ম শেডের নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রেসক্রিপশনের কারণে অতীতে এ দেশের সড়কপথের উন্নয়ন হলেও রেলপথে কোনো পরিবর্তন আসেনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে ৩ হাজার কিলোমিটার রেলপথ ছিল। পরবর্তীতে তা থেকে আরও ২শ কিলোমিটার কমেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তাই তিনি রেল ও জলপথ উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি জেলায় রেললাইন সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৫৬টি রেল স্টেশন আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে মিটারগেজের লাইনগুলো ব্রডগেজ লাইন করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাজাকার-আলবদর ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এখনও সক্রিয়। শারদীয় দুর্গাপূজার মধ্যে তারা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। মানুষ শান্তিতে, স্বস্তিতে থাকুক এটা তারা চায় না। তাই এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্ব) মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিমান পরিচালনা পর্যদের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, মোহনগঞ্জ পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট লতিবুর রহমান রতন প্রমুখ।