২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৬:৩০
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৬:৩০

নেপালকে উড়িয়ে সাফের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

ভারতের মত শক্তিশালী দলকে যখন গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ হারিয়েছিল, তখনই বলা যায় চ্যাম্পিয়নের অঘোষিত মুকুটটি পরে নিয়েছিল বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। এই আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার সর্বশেষ বাধা ছিল স্বাগতিক নেপাল। যাদেরকে এর আগে সাফ ফুটবলে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।

কিন্তু যে দলটি ফাইনাল পর্যন্ত আসার পথে চার ম্যাচে গোল দিয়েছে ২০টি, সে দলটির সামনে ফাইনালে কে খেলছে সেটা যেন কোনো বিষয়ই ছিল না। যদিও ফাইনালে আসার আগ পর্যন্ত কোনো গোল হজম করেনি বাংলাদেশ এবং নেপাল কেউই।

ফাইনালে শিরোপা লড়াইয়ে এসে শক্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন বাংলাদেশের মেয়েরাই। পুরো ম্যাচে উপভোগ্য ফুটবল উপহার দিয়েছে দুই দলই; কিন্তু গোলের খেলায় সাবিনাদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি স্বাগতিক নেপাল। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে তাদেরকে হারিয়েই নারী ফুটবলে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ।

নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া ৫টায় শুরু হয়ে ফাইনালের শিরোপা লড়াই। প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সাবিনা খাতুনরা। দ্বিতীয়ার্ধে এসে প্রথমে একটি গোল হজম করে তারা। ম্যাচ পরিণত হয় ২-১ এ। এর কিছুক্ষণ পর আবারও গোল করে বাংলাদেশ এবং শিরোপা জয় নিশ্চিত করে নেয়।

বদলি খেলোয়াড় শামসুন্নাহার জুনিয়র এবং কৃষ্ণা রানী সরকারের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুতে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ প্রাধান্য নিয়ে খেলেই প্রথমার্ধে ২ গোল দেয়।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে স্বাগতিক নেপাল। যার ধারাবাহিকতায় ৭০ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করে ফেলে নেপাল। আনিতার দারুণ এক শট জড়িয়ে যায় বাংলাদেশের জালে।

তবে, ২-১ গোলকে নিরাপদ মনে করেননি বাংলাদেশের মেয়েরা। যে কারণে আরও একটি গোল আদায়ের লক্ষ্যে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে তারা। খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৭৭তম মিনিটেই গোল আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। কৃষ্ণা রানী সরকারের দ্বিতীয় গোলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৩-১ গোলের ব্যবধানে।

প্রচুর বৃষ্টিতে দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামের মাঠ কাদায় ছুপছুপ। যে মাঠে ভালো ফুটবল খেলা কঠিন। এই প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশের মেয়েরা দারুণ ফুটবল খেলে বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

১৪ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় শামসুন্নাহার করেন প্রথম গোল। ব্যাথা পেয়ে ১০ মিনিটে সিরাত জাহান স্বপ্না মাঠের বাইরে চলে গেলে তার পরিবর্তে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন মাঠে নামান শামসুন্নাহারকে।

Facebook
Twitter
LinkedIn