২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / ভোর ৫:০৩

নেপালে বিধ্বস্ত প্লেনের সন্ধান, ১৪ মরদেহ উদ্ধার

নেপালে নিখোঁজ তারা এয়ার বিমানের বিধ্বস্ত স্থান থেকে ১৪ আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা গেছে। বাকিদের উদ্ধারে সন্ধান চালানো হচ্ছে এলাকাটিতে। সোমবার (৩০ মে) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য কাঠমাণ্ডু পোস্ট।

নেপালের সেনাবাহিনী সোমবার জানিয়েছে, বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ২০ ঘন্টা পর, উত্তর-পশ্চিম নেপালের মুস্তাং জেলার থাসাং-এর সানো সোয়ার ভিরে ধ্বংসাবশেষ পেয়েছে।

সোমবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্লেনটির ধ্বংসাবশেষের ছবি শেয়ার করেছেন নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নারায়ণ সিলওয়াল।

গতকাল রোববার সকালে নেপালের পোখরা থেকে জমসমের দিকে যাওয়ার সময় দেশটির তারা এয়ারলাইন্সের ওই প্লেন নিখোঁজ হয়। এটি দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় ধাওয়ালাগিরি এলাকার মুসতাং জেলার কোওয়াং গ্রামের লামচে নদীর মুখে মানপতি হিমাল পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই দুর্ঘটনায় প্লেনের সকলেই নিহত হয়ে থাকতে পারেন।

প্লেনে ১৯ জন যাত্রী ও ৩ ক্রুসহ মোট ২২ জন আরোহী ছিল বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা গেছে। আরোহীদের মধ্যে ১৩ জন নেপালি নাগরিক, চারজন ভারতীয়, দুইজন জার্মান নাগরিক এবং তিনজন ক্রু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের পর্যটন শহর পোখরা থেকে উড়োজাহাজটি জমসন শহরে যাচ্ছিল। জমসম বিমানবন্দরে পৌঁছানোর ১৫ মিনিট আগে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে উড়োজাহাজটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। 

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই বলছে, মুসতাং জেলার জমসন এলাকার আকাশে উড়োজাহাজটি সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল। এরপর সেটি ধৌলাগিরির দিকে যেতে শুরু করে। এরপর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এর আগে কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জমসন বিমানবন্দরের একজন ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার বলেছেন, তারা ওই সময় জমসনের ঘাসা এলাকা থেকে বিকট শব্দ শুনেছেন। 

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে নেপালের ওই এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই গতকাল ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

Facebook
Twitter
LinkedIn