২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:৫৩
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:৫৩

নেভেনি সীতাকুণ্ডের আগুন, তদন্ত কমিটি গঠন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৫ ঘণ্টা পার হলেও আগুন এখনও নেভেনি। সোমবার (৬ জুন) তৃতীয় দিনেও সকাল থেকে আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। এই ঘটনায় ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৪৯ জন। এর মধ্যে নয়জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়েছেন ৪শো’রও বেশি মানুষ। বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে আহতদের নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠেছে হাসপাতালের পরিবেশ। অগ্নিদগ্ধ অনেককে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে। 

এদিকে, চমেকে থাকা ১২টি লাশের মধ্যে কেবল একটি লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাকি লাশ শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট শুরু হবে।  

এছাড়া চমেকে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ জনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। নগরীর অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালেও ডিপোকাণ্ডে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাসায়নিক থাকায় একটি কন্টেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন। পুড়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও।

গতকাল ফায়ার সার্ভিসের ২৯টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন। তবে ডিপোতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলে জানিয়ে ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

Facebook
Twitter
LinkedIn