২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৯:২১
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৯:২১

ন্যাটোর সদস্যপদ না চাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে, যুদ্ধবিরতি চান জেলেনস্কি

যুদ্ধবিরতি, রুশ সেনা প্রত্যাহার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যাটোর সদস্যপদ না চাওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত ইউক্রেন। জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, এটি প্রত্যেকের জন্য আপস। পশ্চিমারা ন্যাটোর ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে কী করবে তা জানে না। ইউক্রেন নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চায়।  

সোমবার (২১ মার্চ) রাতে ইউক্রেনীয় টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই কথা জানান।

জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধবিরতি ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তার পদক্ষেপ নিলে ক্রিমিয়ার অবস্থা এবং রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে থাকা পূর্ব ডনবাস অঞ্চল নিয়েও আলোচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।

উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।

Facebook
Twitter
LinkedIn