২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:৪১
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:৪১

পঁচাশি বছরের সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় চলে গেলেন

উনিশশো আশির চব্বিশ জুলাই আর দুহাজার কুড়ির পনের নভেম্বর। দুয়ের মধ্যে ব্যবধান চল্লিশ বছরের। তবু, যেন এক অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা পড়লো তারিখ দুটি। এই বেলভিউতেই প্রয়াত হয়েছিলেন বাংলা চলচিত্রের মহানায়ক উত্তমকুমার সেই উনিশশো আশিতে। এই বেলভিউতেই শেষনিঃস্বাস ফেললেন আর এক মহানায়ক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।  চুয়ান্ন বছরের উত্তম জীবনদায়ী ইনজেকশন দিতে উদ্যত চিকিৎসকের হাত জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ডাক্তার, আমি বাঁচতে চাই, আমাকে বাঁচাও। পঁচাশি বছরের সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় চলে গেলেন নিঃসাড়ে, চেতনহীন অবস্থায়। বাঁচতে চেয়েছিলেন সৌমিত্রও।  তাঁর সংসারের কথা ভেবে, তাঁর পরিজনদের কথা ভেবে। অসুস্থ স্ত্রী দীপা কার্যত বিছানা বন্দি, পুত্র সেইরকম আয় করেনা।

বিবাহিতা মেয়ে বাবার ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ছেলের ঘরের নাতি মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় দীর্ঘদিন কোমায় থেকে প্রায় চলৎশক্তিহীন। এদের কথা ভেবেই সৌমিত্র, সত্যজিৎ রায়ের চোদ্দটি ছবির নায়ক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত শুটিং করেছেন। ঝুঁকি নিয়েই. উত্তম কুমার অনুজপ্রতিম সৌমিত্রকে বলেছিলেন, আই ওয়ান্ট টু লিভ ডেঞ্জেরাসলি। সৌমিত্রও কি র তাঁর দাদার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিপজ্জনকভাবে বাঁচতে গিয়েই পরাজিত হলেন। অপরাজিত অপু প্রথমবার হার মানলেন। হয়তো তাই.।

পাঠকের মতামত

**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Facebook
Twitter
LinkedIn