পুঁজিবাজারে চলমান দরপতন ঠেকা্তে নানা ব্যবস্থার পর এবার সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রি-ওপেনিং সেশন। আগামী রোববার (২২ মে) থেকে আর বাজারে প্রি-ওপেনিং সেশন থাকবে না।
আজ বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রি-ওপেনিং সেশন স্থগিত করে একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে মূল লেনদেন শুরু হওয়ার আগে ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হতো শেয়ার কেনাবেচার অর্ডার বসানোর জন্য। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এটিকে বলা হয় প্রি-ওপেনিং সেশন। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে এর নাম ওপেনিং অকশন কল অ্যান্ড ওপেনিং প্রাইস পাবলিকেশন।
২০২০ সালের অক্টোবরে, বিএসইসি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে প্রাক-ওপেনিং সেশন এবং পোস্ট-ওপেনিং সেশনের আবেদন অনুমোদন করে।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই প্রি ওপেনিং সেশন শুরুর সময় সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে। আর ওপেনিং সেশন শুরু সকাল ১০টা। এ সেশনে বিনিয়োগকারীরা শুধু শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয় আদেশ দিতে পারবেন। এই সেশনে একটি আইডিয়াল ওপেনিং প্রাইস নির্ধারণ করা হবে। সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্রেতা এবং বিক্রেতা যেই প্রাইসে থাকবে সেটাই হবে ওপেনিং প্রাইস। নিয়মিত সময়ে যেয়ে এই ওপেনিং প্রাইসে লেনদেনটি সম্পন্ন হবে। পরবর্তীতে স্বাভাবিক নিয়মে নিয়মিত সেশনটি চালু থাকবে।
দেশের পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক দরপতনের সাথে এই প্রি-ওপেনিং সেশনের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে অনেকের সন্দেহ। বাজারের কিছু আসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের হীন উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য এই প্রি-ওপেনিং সেশনকে কাজে লাগাচ্ছিল। তারা লেনদেন শুরুর আগেই এমন কিছু অর্ডার বসাতো, যা দেখে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। এভাবে লেনদেনের শুরুতেই সূচককে নিম্নমুখী করে দেওয়া সহজ হয়ে উঠে। পরে এই ধারা থেকে বাজার আর বের হতে পারে না। এই আপতৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে প্রি-ওপেনিং সেশন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।