ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকায় আগামী ডিসেম্বর মাসে ফাইভ-জি সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে। সেটা ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে বা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে হতে পারে। সরকারি মোবাইলফোন অপারেটর টেলিটক পরীক্ষামূলকভাবে এই ফাইভ-জি সেবা চালু করবে।
শনিবার ফাইভ-জি নিয়ে এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি। ‘ফাইভ-জি ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড আপকামিং টেকনোলজিস’ শীর্ষক এই অনলাইন আলোচনা সভার আয়োজন করে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এ বছর টেলিটক ফাইভ-জি সেবা পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করবে। আগামী বছর তা সম্প্রসারণ করবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে অন্য মোবাইলফোন অপারেটরদের জন্য ফাইভ-জি তরঙ্গ নিলাম করা হবে। ফলে আগামী বছর অন্যান্য অপারেটরও ফাইভ-জি চালু করতে পারবে।’
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘ফাইভ-জি সেবা ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পকারখানায় বেশি কাজে লাগবে। সেদিকেই নজর বেশি থাকবে। পাঁচটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্পকারখানায় ফাইভ-জি সেবা দেওয়ার জন্য বিটিসিএলকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দীন বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে ফাইভ-জি সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। শুরুতে ঢাকায় এর ২০০টি সাইট চালু হবে।
অনুষ্ঠানে ফাইভ-জি নিয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরে টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গড়ে ১০ জিবিপিএস গতিতে ফাইভ-জি সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই গতি ২০২৬ সাল নাগাদ ১০০ জিবিপিএসে উন্নীত হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। এছাড়া বিটিআরসির কমিশনার ও ফাইভ-জি নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এ কে এম শহীদুজ্জামান, মুঠোফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের চেয়ারম্যান এরিক অস, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান, রবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ রশীদ, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার তাওগোয়ানজিও, এরিকসনের কান্ট্রি ম্যানেজার আবদুস সালাম প্রমুখ বক্তব্য দেন। টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।