২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১১:৩৩
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১১:৩৩

পরীক্ষামূলক মেট্রো রেল জুলাইয়ে

রেল ট্র্যাক বসানোর কাজ চলছে ঢাকায়, জাপানে তৈরি হয়ে জাহাজে ওঠার অপেক্ষায় আছে রেল কোচ। এরই মধ্যে জাপানে পরীক্ষামূলক চালানো হয়েছে কোচগুলো।

মেট্রো রেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানিয়েছেন, ‘রেল কোচের প্রথম চালানে পাঁচটি কোচ আগামী ২৩ এপ্রিল জাপানের কোবে বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে জাহাজে উঠবে। মোংলা বন্দর থেকে আনা হবে দিয়াবাড়ী ডিপোতে। জুলাই মাসের প্রথম থেকেই ঢাকায় রেল কোচগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালানো শুরু করা হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে মেট্রো রেলের প্রথম পর্যায় চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসেই ঢাকায় মেট্রো রেলের উদ্বোধন করা হবে।’

যদিও মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, পুরো লাইনের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে, তার পরও দেখা যাচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে চালু করার জন্য দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও অংশের প্রতি বেশি জোর দেয়া হয়েছে। দিয়াবাড়ী থেকে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত প্রকল্প এলাকার সার্বিক অগ্রগতি ৫৭ শতাংশ হলেও আগারগাঁও পর্যন্ত এলাকার কাজের অগ্রগতি ৮০ শতাংশেরও ওপরে। প্রথম দফায় উত্তরা নর্থ তথা দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১০.৮০ কিলোমিটার চলবে মেট্রো রেল। পরে ধাপে ধাপে চলবে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত। রাজধানী শহর ঘিরে উড়াল ও পাতাল রেল মিলিয়ে ছয়টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত এমআরটি-৬ প্রকল্পের কাজটি প্রথম হাতে নেয়া হয়েছে।

উত্তরা এলাকার তিনটি স্টেশনের নির্মাণকাজ প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে, বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের কাজ চলছে এবং রেল ট্র্যাক বসানোর কাজ শেষ করা হয়েছে। এই তিনটি স্টেশন হচ্ছে—উত্তরা, উত্তরা সেন্ট্রাল ও উত্তরা দক্ষিণ। তবে পরীক্ষামূলক চলাচল মিরপুর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্যও দ্রুত কাজ চলছে। মিরপুরের শেওড়াপাড়া পর্যন্ত রেল ট্র্যাক বসানোর কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। শেওড়াপাড়া পর্যন্ত স্টেশনের ছাদও নির্মিত হয়েছে।

মেট্রো রেল সূত্রে জানা যায়, উত্তরা নর্থ অর্থাৎ দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত রেল ট্র্যাক, স্টেশন ও ভায়াডাক্ট নির্মাণের সার্বিক অগ্রগতি ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। একই হারে পরিষেবা, চেকবোরিং, টেস্ট পাইল, মূল পাইল, পাইল ক্যাপ, আই-গার্ডার, প্রিকাস্ট সেগমেন্ট কাস্টিং ও পিয়ার হেডের নির্মাণকাজ হয়েছে।

ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল কাজও শেষের দিকে। পিজিসিবির টঙ্গী সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে দিয়াবাড়ী রিসিভিং সাবস্টেশনে, সে জন্য এরই মধ্যে ডেসকোর উত্তরা সাবস্টেশন থেকে ১৩২ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। এখানে বিদ্যুৎ রিসিভিংয়ের টেস্টিং সম্পন্ন হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এমআরটি-৬ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জাপানে কোচ নির্মাণের পর সেগুলো সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য বাংলাদেশ থেকে একটি টিম যাওয়ার কথা ছিল, করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। সে জন্য মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের নিয়োগ দেয়া আন্তর্জাতিক মানের জাপানি ইন্সপেকশন কম্পানি জেআইপি রেল কোচগুলো পরীক্ষা করেছে। তারা কোচগুলো চালিয়েও দেখেছে। ২৩ এপ্রিল রেল কোচের প্রথম চালান জাপান থেকে জাহাজে করে বাংলাদেশে রওনা হবে। দেশে আসার পর জুলাই মাসের শুরুতে পরীক্ষামূলক চালানো শুরু করব। ছয় মাস পরীক্ষামূলক চালানোর কথা থাকলেও হয়তো তার প্রয়োজন হবে না।’

Facebook
Twitter
LinkedIn