Search
১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ১৫ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৩:৩৪

পল্টন ও শাহবাগে রাস্তা অবরোধ করেছে হরতালকারীরা

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পূর্বঘোষিত হরতালের সমর্থনে রাজধানীর পল্টন ও শাহবাগে মিছিল ও সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। এসময় সড়ক অবরোধ করতে দেখা যায় তাঁদের।

সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে পল্টন এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে এ হরতাল পালন শুরু করে বাম জোটগুলো। এতে অংশ নেয় বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক দল সিপিবি, বাসদ, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির নেতাকর্মীরা। তারা পল্টন মোড় থেকে মিছিল বের করেন। পরে মতিঝিল, গুলিস্তান, বিজয়নগর ঘুরে আবার পল্টন মোড়ে অবস্থা নেয়। পল্টন মোড়ে ব্যারিকেড় দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে তারা। 

পল্টনের বিক্ষোভ থেকে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে হরতালে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এই হরতাল কর্মসূচেত কোনো ধরনের উস্কানি দেবেন না। নেতারা বলেন, যারা হরতালে গাড়ি চালাবেন তারা জাতির শত্রু। এরা সরকারের দালাল। 

পল্টন এলাকায় বাম জোটের নেতাকর্মীদের অবস্থানের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় অফিসগামীরা হেঁটে, রিকশায় করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে মতিঝিলের যাওয়ার অন্যান্য সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে।

একই দাবিতে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে একটি মিছিল নিয়ে শাহবাগে যায় বামপন্থি ছাত্রদের সংগঠনের জোট প্রগতিশীল ছাত্র জোট। সেখানে তারা অবস্থান নিয়ে মিছিল করতে থাকেন। এ সময় তারা হরতালের সমর্থনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বন্ধ করো করতে হবে; দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দে, নইলে গদি ছেড়ে দে; দোকানপাট খুলবে না, গাড়ির চাকা ঘুরবে না ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

একপর্যায়ে তারা টায়ার জ্বালিয়ে ও রাস্তার পাশের ব্যানার-পোস্টারে অগ্নিসংযোগ করে ব্যারিকেড তৈরি করে। সকাল পৌনে সাতটার দিকে তারা এ এলাকার সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এসময় আগুন জ্বালানো নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতাণ্ডা হয় ছাত্রদের।

এতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশনসহ কয়েকটি বাম সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn