পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের আভাস পাওয়া গেছে। এদিকে ভোটের আগে এক দেড় বছর ধরে তৃণমূল থেকে আসা প্রচুর নেতাকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তাদের অধিকাংশই পিছিয়ে আছেন।
যারা তৃণমূলকে ডুবন্ত নৌকো ভেবে যারা বিজেপি-তে গিয়ে নাম লিখিয়েছিলেন এবং প্রার্থী হতে পেরেছিলেন, তাদের অধিকাংশই পিছিয়ে। তার মধ্যে সাবেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপধ্য়ায় পিছিয়ে। বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, সব্যসাচী দত্ত পিছিয়ে। সাবেক আইপিএস ভারতী ঘোষ পিছিয়ে।
এছাড়া যেসব তারকা প্রার্থী বিজেপির টিকিটে লড়াই করছেন তার মধ্যে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্য়ায়ও পিছিয়ে আছেন। তাছাড়া আরো বহু নেতা যারা বিজেপি-তে গিয়ে ভাগ্যপরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন তারাও পিছিয়ে আছেন।
সর্বশেষ নির্বাচনী হিসাব বলছে, তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের মাত্র ১০ শতাংশের মতো নেতা জিততে পারেন। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম আসনে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর থেকে পিছিয়ে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু তারই একসময়ের ডান হাত, মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্য। তিনি গত ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। গত ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোট হয়। এই দফার ভোটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল নন্দীগ্রাম। এছাড়া নির্বাচনের পর বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছিলেন মমতা ও শুভেন্দু। মমতা বলেছিলেন, তিনি নিশ্চিত, এই আসনে ৯০ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনিই জিতবেন। অন্যদিকে, শুভেন্দু বলেছিলেন, তিনি অন্তত ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে মমতাকে হারাবেন।