২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৬:২২
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৬:২২

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়

রাওয়ালপিন্ডিতে এক নতুন ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশি পুরুষ ক্রিকেটাররা। এই প্রথম তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোন টেস্ট ম্যাচ জিততে সক্ষম হলো। তাও আবার পাকিস্তানের মাটিতেই।

শেষ বিকেলে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অভূতপূর্ব এক দৃশ্য দেখা গেল। গ্যালারি থেকে দৌড়ে বের হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পুরো দল ও কর্তারা। সবার চোখে মুখে তখন আনন্দ। স্টেডিয়ামের নরম ঘাসে উড়ল দেশের পতাকা। মাত্রই পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে টেস্ট হারালো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। উচ্ছ্বাসটা তাই একটু বেশি। কারণ, প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে হারানোর আনন্দ বেশিই হওয়ার কথা। 

দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান বাংলাদেশকে মাত্র ৩০ রানের লিড দিতে পেরেছিলো। বাংলাদেশর হাতে পুরো এক সেশনের সময় বাকি ছিলো। এই পথটুকু অনায়েসেই পার করেছেন টাইগার ব্যাটাররা।

এই টেস্ট ম্যাচ জিততে বাংলাদেশে দলের সবাই দুর্দন্ত খেলেছেন। পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৪৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছিলো। তবে টাইগাররাও কম যায়নি। মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ তোলে ৫৬৫ রান। প্রায় দ্বিশতকের কাছাকাছি যাওয়া মুশফিক খেলেন ১৯১ রানের বিরোচিত ইনিংস। 

দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে খুব বেশি দূর যেতে না দেওয়ার কৃতিত্ব মেহেদি হাসান মিরাজ এবং সাকিব আল হাসানের। দুজনে মিলে নিয়েছেন ৭টি ইউকেট। এতে মাত্র ১৪৬ রান যোগ করেই গুটিয়ে যায় পাক বাহিনী। লিড দিতে পারে সাক’ল্যে ৩০ রান। 

এই অল্প রান পারি দিতে খুব বেশি সময় নেননি টাইগাররা। দুই ওপেনার অনায়েসেই এই রান তুলে প্রথমবারের মতো টাইগার সমর্থকদের ভাষান জয়ের আনন্দে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩ টি টেস্ট ম্যাচ খেলার পর প্রথমবারের মতো জয় পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

Facebook
Twitter
LinkedIn