২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১১:২৪

পানি কমলেও বন্যার ক্ষতচিহ্ন

নদীর পানি কমতে থাকায় সিলেটে ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। সিলেটে টানা ১১ দিন ধরে পানিবন্দি ১৩ উপজেলার প্রায় ১২ লাখ মানুষ। রোববার থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও রেখে যাচ্ছে এর ক্ষতচিহ্ন।

দেড় সপ্তাহের বন্যায় ধসে গেছে বহু বাড়িঘর, সড়ক-সেতু। ভেসে গেছে গবাদি পশু, পুকুরের মাছ, খেতের ফসল। বিভিন্ন বাঁধের অন্তত ৩৫টি স্থান ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখনও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে গৃহহীন ১০ হাজারের বেশি পরিবার।

পর্যাপ্ত ত্রাণের অভাবে বন্যার্তদের মাঝে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সিলেটের জকিগঞ্জে ভাঙা বাঁধ দিয়ে এখনও লোকালয়ে পানি ঢুকছে। সুনামগঞ্জের উজানে থাকা উপজেলাগুলোয় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ভাটিতে বাড়ছে পানি। নেত্রকোনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ধান ও অন্যান্য ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।

এদিকে, সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কমছে অন্যান্য নদনদীর পানিও। পৌর শহরের বন্যা কবলিত এলাকা থেকে পানি সরছে। তবে জেলার নি¤œাঞ্চলে এখনো পানিবন্দী লাখো মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন অনেকে। বন্যায় জেলার প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল, বাদাম ও বিভিন্ন সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তলিয়ে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের।

Facebook
Twitter
LinkedIn