পুঁজিবাজারে গতি ফেরাতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য গঠিত তহবিলের অবশিষ্ট আদায় করা অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃতহবিলে দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে এ তহবিলের মেয়াদ আরো ৫ বছর বাড়িয়ে ২০২৭ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এমন সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের র্চিঠিতে বলা হয়, ‘৯০০ কোটি টাকা দিয়ে সৃষ্ট ‘পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল’ এর আদায়কৃত ১৫৩ কোটি টাকা আবর্তনশীল ভিত্তিতে পুর্নবিনিয়োগযোগ্য তহবিলের সঙ্গে যুক্তকরণ ও তহবিলের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হল।’ পাশাপাশি এ তহবিল থেকে নেওয়া সর্বশেষ ঋণ পরিশোধ করা যাবে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত।
মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত তহবিলের আওতায় বিনিয়োগকারীদের ঋণ হিসেবে দেওয়া আরও ১৫৩ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলে যোগ হবে। এ নিয়ে এ তহবিলের আকার দাঁড়াবে ১ হাজার ৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত এ তহবিল থেকে অর্থ ঋণ হিসেবে নিয়ে তা বিনিয়োগকারীদের দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবি।
এতে চলতি বছরের মধ্যে তহবিলের অর্থ ফেরত দিতে বিনিয়োগকারীরা আরও সময় পেলেন। টানা নিম্নমুখী পুঁজিবাজারে এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এখন এ অর্থ ব্যবহার করে কেনা শেয়ার বিক্রির চাপ কমল।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের পুনঃঅর্থায়ন তহবিল বা নতুন ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদ আরোপ করে ৯০০ কোটি টাকার সহায়তা তহবিল গঠন করা হয়, যার মেয়াদ ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরা ছিল। এরপর তা দফায় দফায় বাড়ানো হয়। সবশেষ ২০১৯ সালে তিন বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়, যা ২০২২ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০১০ সালের ধসের পর পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পোষাতে এ তহবিল গঠন করেছিল সরকার।