রাহুল গান্ধীসহ বিরোধী নেতাদের তীব্র সমালোচনার পর পেট্রোল ও ডিজেলের ওপর আরোপিত আবগারি শুল্ক কমিয়েছে ভারত। ফলে দেশটির খুচরা বাজারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম ৫ ও ১০ টাকা করে কমছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে প্রতি লিটার পেট্রোলে শুল্ক কমানো হয়েছে ৫ রুপি এবং লিটারপ্রতি ডিজেলে শুল্ক কমানো হয়েছে ১০ রুপি।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, আসন্ন দীপাবলী উৎসব উপলক্ষ্যে জনগণের প্রতি ‘উপহার’ হিসেবে শুল্ক হ্রাসের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথমবার ভারতে পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি বাড়ে ২৬ রুপি। পরের বছর ২০২০ সালে তা আরো বেড়ে পৌঁছায় ৩৪ রুপিতে।
একই সময়ে, ২০১৯ সালে লিটারপ্রতি বাড়ে ২৫ রুপি এবং পরের বছর তা আরও বেড়ে পৌঁছায় ২৯ দশমিক ৫ রুপিতে।
লোকসভা ও বিধানসভার উপনির্বাচনে সম্প্রতি বিজেপি ধাক্কা খেয়েছে। হিমাচল প্রদেশে বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বলেছেন, মূল্যবৃদ্ধির মূল্য দিতে হয়েছে ভোটে।
২০২২-এর শুরুতে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাবসহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। জনতার ক্ষোভ টের পেয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকার পেট্রোল ও ডিজ়লের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, এতদিন বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলো কেন্দ্রের কাছে উৎপাদন শুল্ক কমিয়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর দাবি করছিল। এখন কেন্দ্র উৎপাদন শুল্ক কমিয়ে রাজ্যগুলোর কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, রাজ্যগুলোও এবার ভ্যাট কমিয়ে সাধারণ মানুষকে সুরাহা দিক। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, জ্বালানিতে শুল্ক কমানোর ফলে চলতি অর্থ বছরে মোদি সরকার প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাতে চলেছে।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পরে এনডিএ শাসিত সাতটি রাজ্য— বিহার, আসাম, কর্নাটক, গোয়া, ত্রিপুরা, মণিপুর ও উত্তরপ্রদেশ পেট্রোলে ১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে শুরু করে ৭ টাকা এবং ডিজেলে ১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত ভ্যাট বা শুল্ক কমিয়েছে। ফলে ওই রাজ্যগুলোতে তেলের দাম কমেছে।
উত্তরাখণ্ড সরকার পেট্রোলের দাম ২ টাকা কমানোর কথা বললেও ডিজেল নিয়ে কিছু বলেনি। হিমাচল প্রদেশ জানিয়েছে, দাম কমাচ্ছে তারাও।