রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে কনকনে শীত। সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশাও। শৈত্যপ্রবাহ কুয়াশায় বিপর্যস্ত এসব অঞ্চলের জনজীবন। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঢাকাসহ ছয় অঞ্চলে আজ দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনূর ইসলাম জানিয়েছেন, উত্তরের বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি আরও দু’দিন থাকতে পারে।
পৌষের শীতে কাঁপছে দেশ। হিমেল হাওয়ায় ঠান্ডা অনুভব করতে শুরু করেছে রাজধানীবাসীও। সবচেয়ে কষ্টে ভুগছে ছিন্নমূল মানুষেরা। রাতে নগরবাসীকে নিরাপত্তা দিতে শীতে কাবু টহলরত পুলিশও। আর আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন শ্রমিকরা। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, কনকনে এমন ঠাণ্ডা থাকবে আরও কয়েকদিন।
ঘনকুয়াশা আর হিমেল হাওয়া যেন পৌষের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে প্রকৃতি। দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত। জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। গত কয়েকদিনের তুলনায় মঙ্গলবার থেকে ঢাকা নগরীতেও শীত খানিকটা বেশি অনুভূত হচ্ছে। রয়েছে কুয়াশার দাপট।
হঠাৎ শীতে বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর ফুটপাতে থাকা ছিন্নমূল মানুষ। তাদের রাত কাটে অবর্ণীয় কষ্টে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে স্বল্পআয়ের মানুষ। রিকশা কিংবা অটোরিকশা চালকরা হিম ঠান্ডার মধ্যেই আয়ের জন্য ছুটছেন নগরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। কনকনে শীত উপেক্ষা করে নগরীর নিরাপত্তায় ব্যস্ত থাকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আরও অন্তত দু’দিন আবহাওয়ায় এমন অবস্থা বিরাজ করতে পারে এবং আগামী শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) থেকে শীত কিছুটা কমে আসতে পারে।
আজ বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ০ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। এদিকে দেশের উত্তরের জনপদে কয়েক দিন ধরেই বইছে কনকনে বাতাস, সঙ্গে রয়েছে কুয়াশার দাপট। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। আর শীত বাড়তে শুরু করায় ফুটপাতে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাদর বিছিয়ে বা ভ্যানে করে শীতের কাপড় বিক্রি বেড়েছে।