প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে বৈশ্বিক নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের তৈরি পোশাক খাত এগিয়ে যাচ্ছে। এ খাত কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এজন্য সরকার বস্ত্র খাতের উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কোনো কলকারখানা যেন বন্ধ হয়ে না যায় সে ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আজ (মঙ্গলবার) বেলা ১১টার দিকে গণভবন থেকে জাতীয় বস্ত্র দিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এদিন তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন জেলায় ছয়টি টেক্সটাইল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
পোশাক খাতের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, করোনার সময় বস্ত্রখাত ঝুঁকির মধ্যে পড়েছিলো। আওয়ামী লীগ সরকার প্রণোদনার মতো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ায় তেমন সমস্যায় পড়েনি এই খাত।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেই বস্ত্র খাতের শ্রমিকদের বেতন ভাতা বাড়িয়েছে। অন্যান্য সুযোগ সুবিধাসহ শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণে ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকারের উদ্যোগের কারণে হারানো মসলিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। গবেষণার মাধ্যমে এটিকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রেখে যাচ্ছে বস্ত্র খাত। অর্জিত হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে এই খাতের ফলে। বিশেষ করে নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এই খাতের উদ্যোক্তাদের বিশেষ নির্ভরতা কমানোর আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা জানান, ‘তার সরকার পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নতিতে কাজ করছে। অনেক উন্নত দেশের চেয়েও বাংলাদেশের পোশাক কারখানার পরিবেশ ভালো এবং শ্রমিকদের স্বাধীনতা বেশি। বিশ্ববাজারের সাথে ধারাবাহিকতা রেখে বস্ত্র পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ ও বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে দেশের ৬ জেলায় ৬টি টেক্সটাইল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া ১০টি প্রতিষ্ঠান ও অ্যাসোসিয়েশনকে বস্ত্র খাতে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা দেয়া হয়।