বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। তাই পরীক্ষা বাতিলের জন্য দাবি করেছেন সাধারণ পরীক্ষার্থীরা। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে তারা এ বিষয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পরীক্ষা বাতিলের দাবি করে স্মারকলিপিতে পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত পাঁচ ব্যাংকের সম্মিলিত পরীক্ষায় সরকারের সবচেয়ে ভয়াবহ অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে হয়েছে।
পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষার সময় শেষ হওয়ার পরও পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তারা। এছাড়া পরীক্ষায় পর্যবেক্ষক কম থাকাসহ কেন্দ্রে কেন্দ্রে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়া ছাড়াও নানা অব্যবস্থাপনা ও চরম অনিয়ম সেখানে ছিল বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা। এমন অবস্থায় গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিলসহ দ্রুত ওই পদে আবার পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
এর আগে শনিবার বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এক হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন চাকরিপ্রত্যাশী। একাধিক চাকরি প্রার্থীর দাবি, পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের প্রিন্ট করা উত্তরপত্র ফেসবুকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, একটি পক্ষ শুরু থেকেই পরীক্ষা বাতিলের দাবি করে আসছে। প্রথমে তারা বলেছিলেন, করোনার কারণে প্রস্তুতি কম পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে। পরে বলা হলো, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে পরীক্ষা দিতে পারবে না। পরীক্ষা হয়েছে উপস্থিতি ৫০ শতাংশের ওপরে ছিল। এখন প্রশ্নপত্র ফাঁসের একটা অভিযোগ তোলা হয়েছে আমরাও শুনেছি। ৪৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখব। যদি প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় বা সংশ্লিষ্ট কেউ যদি জড়িত থাকে, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।