২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৪:৩৭
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৪:৩৭

প্রার্থিতা ফিরে পেতে হিরো আলমের রিট

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য ঘোষিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।

রিটে হিরো আলমের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ারও আর্জি জানানো হয়েছে। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনের সচিব, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হিরো আলমের পক্ষে ইয়াররুল ইসলাম রিটটি দায়ের করেন।

এর আগে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ থেকে এ রিটের বিষয়ে অনুমতি নেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।

বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। গত ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুপুর ১টার দিকে এ ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। এরপর তিনি মনোনয়ন গ্রহণ ও বাতিলসংক্রান্ত বিষয়ে গত ১০ জানুয়ারি আপিল করেন নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ডে। সেই আবেদনটিও গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) খারিজ করে দেওয়া হয়।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি হলফনামায় গড়মিল পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েকজন ভোটারের সমর্থন না পাওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। 

মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি আগের বার যে ভুল করেছি সে ভুলটা এবার করিনি৷ তবুও আমার দুটো আসনেই মনোনয়ন বাতিল করা হলো।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও আলোচিত হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মনোনয়নপত্র তোলেন। ২ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনই হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। আপিল করলে নির্বাচন কমিশন শুনানির পর তা বাতিল করে।

মনোনয়নপত্রে ভোটারের সই জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আপিলেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে উচ্চ আদালতে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের হাতে পছন্দের ‘সিংহ’ প্রতীক তুলে দেন। ওই সময় তিনি ৬৩৮ ভোট পান। এতে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তবে ভোটের মাঝমাঠে গিয়ে অবশ্য তিনি নির্বাচন বর্জন করেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn