১। র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি,ধর্ষণকারী ও খুনীদের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশ আমার অহংকার ¯েøাগানে র্যাবের এই সমস্ত কর্মকান্ড দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
১। র্যাব-৮,বরিশাল, ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল আজ ৩০ মে ২০২৩ তারিখে র্যাব গোয়েন্দা বিভাগের সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার কামারখালী এলাকায় আসামীদ্বয় ০১। মোঃ মহিদুল ইসলাম (২৭), এবং আসামী ২। মোঃ বিশারত আলী(৪১) মাদকের একটি বিশাল চালান ০১টি প্রোবক্স প্রাইভেটকার করে নিয়ে আসছে। এ প্রেক্ষিতে র্যাবের আভিযানিক দল ঝিনাইদাহ-ফরিদপুর সড়কে কৌশলগত অবস্থান গ্রহন করে এবং মাদক পরিবহনকারীর অবস্থান সনাক্ত করে।উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে রাত ০২:৪০ ঘটিকায় ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে ধৃত আসামী ০১। মোঃ মহিদুল ইসলাম (২৭), পিতা-মোঃ নজরুল ইসলাম,সাং-শ্যামকুড় এবং আসামী ২। মোঃ বিশারত আলী(৪১), পিতাঃ- মৃত খোদাবক্স মন্ডল, উভয় সাং- সাং-ডুমুরতলা, থানা-মহেশপুর, জেলা- ঝিনাইদহ’কে গ্রেফতার করা হয় এবং উক্ত আসামিদের কাছ থেকে ৪০১ বোতল ফেনসিডিল, ০১টি ঞড়ুড়ঃড় প্রোবক্স প্রাইভেটকার, (ঢাকা মেট্রো-গ-২৩-৪৬৩১), ০৩টি মোবাইল, ০৬ টি সিমকার্ড এবং মাদক বিক্রিত ৪০০০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা সবাই আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন থেকে আন্তঃজেলায় পণ্য এবং যাত্রী পরিবহনের আড়ালে কৌশলে ট্রাক এবং প্রাইভেট কারে করে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতো। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মাদক পরিবহন করে ফরিদপুর,ঢাকা ও বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছে।উল্লেখ্য , আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করত মর্মেও জানায়।
২। পরবর্তীতে আসামীদ্বয়কে মধুখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে মধুখালী থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।