টুর্নামেন্টের শুরু থেকে পাকিস্তানকে ফেবারিট মানা হচ্ছিল।তবে সুপার ফোরে টানা ৪ ম্যাচ জয়ে বাবর আজমদের উপর চোখ রাঙাচ্ছিল দাসুন শানাকারা। ফাইনালের তারই প্রতিফলন ঘটল। যদিও শ্রীলংকার শুরুটা ছিল একবারে নড়বড়ে। পাকিস্তানের দুই পেসার নাসিম শাহ ও হারিস রউফের তোপে ৫৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলংকা। ১০০ রানও পার হবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।
আর সেখান থেকে আর মাত্র ২ উইকেট খুইয়ে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর করে শ্রীলংকা, যা নির্ধারিত ২০ ওভারে পার করতে পারেনি পাকিস্তান। ২৩ রানে হেরে যায় বাবর আজমের দল।
মূলত বাজে ফিল্ডিং ও ক্যাচ মিসের মাশুল গুনেছে পাকিস্তান। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সে কথাই জানালেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। তার মতে, বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণেই ফাইনালে হেরেছে তার দল।
দাসুন শানাকাদের অভিনন্দন জানিয়ে বাবর আজম বলেন, ‘শ্রীলংকা দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে। তবে আমাদের ফিল্ডিং আজ কোনোভাবেই ভালো ছিল না। খুবই বাজে হয়েছে। তাছাড়া আমাদের মিডল অর্ডার যেভাবে চেয়েছিলাম, সেভাবে ক্লিক করেনি। আমরা শুরুতে তাদের চেপে ধরেছিলাম। কিন্তু শেষটা হয়নি। আমরা যেভাবে চেয়েছি সেভাবে শেষ করতে পারিনি। একটা জুটিই সেখান থেকে বের করে নিয়েছে তাদেরকে। ’
বাজে ফিল্ডিং বলতে শ্রীলংকার সর্বোচ্চ স্কোরার ভানুকা রাজাপাকসেকে দুটি জীবন দেওয়ার কথাই বলছেন বাবর আজম।
শ্রীলঙ্কার জয়ের নায়ককে দুবার আউট করার সুযোগ পেয়েছিল পাকিস্তান। প্রথমবার যখন তার রান ৪৬। হারিস রউফের স্লোয়ার মারতে গিয়ে বল আকাশে তুলেছেন রাজাপাকসে। লং অন থেকে ছুটে এলেও বলের নিচে যেতে না পেরে ক্যাচ ফেলে দেন।
এর কিছুক্ষণ পর আবারও ব্যর্থ হন শাদাব। এবারও সৌভাগ্যক্রমে ব্যক্তিগত ৫১ রানে বেঁচে ফেরেন রাজাপাকসে। মোহাম্মদ হাসনাইনের ওভারে তুলে মেরেছিলেন রাজাপাকসে। সেই ক্যাচ ধরতে লং অন থেকে ছুটে আসা আসিফ আলীর সঙ্গে ধাক্কা লাগে শাদাবের। দুজনের একজনও ক্যাচ তো ধরতেই পারলেন না, বল হয়ে যায় ছক্কা।