২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১১:৪১
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১১:৪১

ফিফটি হলো না ইয়াসিরেরও, রান এগিয়ে নিচ্ছেন মুশফিক

পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট দিয়ে প্রায় এক বছর পর সাদা জার্সিতে মাঠে নেমেছিলেন তামিম ইকবাল। তবে খুব বেশি রান করতে পারেননি। ওয়াইন মুল্ডারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ৪৭ রানে। ৩ রানের জন্য বঞ্চিত হন হাফ সেঞ্চুরির। তামিমের মতোই ফিফটি বঞ্চিত হয়েছেন আরেক টাইগার ব্যাটার ইয়াসির আলী।

বিপদে পড়া বাংলাদেশকে খাঁদের কিনারা থেকে টেনে তুলছিলেন মুশফিক ও ইয়াসির আলী। তবে কেশব মহারাজের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ইয়াসির ফিরে গেছেন ৪৬ রানে। ৮৭ বলের ইনিংসে খেলেছিলেন ৭টি চারের মার। আউট হওয়ার আগে মুশফিকের সঙ্গে গড়েছেন ৭০ রানের কার্যকরী এক জুটি।

৩১৪ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন মুশফিক-ইয়াসির। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ৬৫ ওভার ব্যাটি করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান তুলেছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে ১টি উইকেট (ইয়াসির) হারিয়েছে সফরকারীরা। মুশফিক ৪৫ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৪ রানে ক্রিজে আছেন। এখনও ২৫৪ রানে পিছিয়ে আছে টাইগাররা।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। বল হাতে ম্যাড়মেড়ে ছিল টাইগার বোলাররা। ব্যাট হাতেও একেবারে অনুজ্জ্বল সবাই। এবাদত, খালেদ, মিরাজ ও তাইজুলদের মোকাবেলা করে ৪৫৩ রান তুলেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষবেলায় ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ রান তুলেছিল মাত্র ১৩৯।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের কোনো টেস্ট সিরিজেই প্রতিরোধ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। আজও ব্যাটিংয়ে সেই পুরোনো চেহারা ফুটে উঠেছে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হাসান শান্ত। তবে এই জুটি ভাঙার পর বেশ বিপদেই পড়ে সফরকারীরা। সেই বিপদ কাটানোর চেষ্টায় জুটি বেধেছিলেন মুশফিক ও মুমিনুল। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। একে একে সবাই সাজ ঘরে ফেরেন। 

শুরুতে পেসার অলিভিয়েরের বল জয়ের ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় প্রথম স্লিপে। দুই বল খেলেও শূন্য রানে ফেরেন প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান। এরপর ৭৯ রানের জুটি গড়েন তামিম-শান্ত। ফিফটি বঞ্চিত হয়ে তামিম (৪৭) ফেরার পরপরই ফিরে যান শান্তও (৩৩)। মুশফিকের সাথে ১৫ রানের ছোট্ট জুটি গড়ে ফিরে যান দলনায়ক মুমিনুল (৬)। পরে লিটনকে নিয়ে দলীয় ২২ রান যোগ করেন মুশি। লিটন ফেরেন ১১ রানে।

স্বাগতিকদের হয়ে ওয়াইন মুল্ডার তিন ব্যাটসম্যান তামিম, শান্ত ও মুমিনুলকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন। বাকি দুই উইকেট পেসার অলিভিয়েরার। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৫৩ রান তোলে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।

Facebook
Twitter
LinkedIn