কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন করা হবে। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলের উদ্বোধন করবেন।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী ঢাকাকে নতুন করে সাজাচ্ছে সরকার। আগামী ২ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ পর্যন্ত ও ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করা হয়েছে। পদ্মা সেতু থেকে সরকারের যে আয় দুই দফায় সেটার ৬৩২ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রী সেটি অর্থ সচিবের কাছে দিয়েছেন।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার পতনের দিবাস্বপ্ন দেখে লাভ নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। অনেক দল নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত আছে। বিরোধী দল বলতে তো শুধু বিএনপি নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হাওয়া থেকে পাওয়া এ রকম অনেক দিবাস্বপ্ন বিএনপির আছে। দিবাস্বপ্ন দিবাস্বপ্নই।
সমঝোতার প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নো কেয়ারটেকার, নো পিএম রিজিগনেশন, নো ডিসজলুশন অব পার্লামেন্ট। সাংবিধানিক এসব ব্যাপারে পরিবর্তনের সুযোগ নেই। যারা বিদেশ থেকে আসছেন পরামর্শ দিতে কোনো বিদেশি বন্ধু, কংগ্রেসম্যান তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদের বিলুপ্তি নিয়ে কথা বলেনি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেনও।