বঙ্গোপসাগরে ৯ থেকে ১১ই মের মধ্যে ‘মোচা’ নামে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়টি সৃষ্টি হলে এটি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ১৩ থেকে ১৬ই মের মধ্যে।
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্টের সবশেষ পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাতের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি থাকতে পারে ১৪০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার। এছাড়া জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও রয়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিসও চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশংকার কথা জানিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোচা যে স্থানে (দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগর) উৎপত্তি হওয়ার কথা নির্দেশ করছে এবং যে পথে (উত্তর-পূর্ব দিকে) অগ্রসর হওয়ার কথা নির্দেশ করছে সেখানে সবচেয়ে বড় হুমকি হবে জলোচ্ছ্বাস। ১৪ মে (চাঁদের ৮১ শতাংশ অন্ধকার থাকবে) সন্ধ্যার পর থেকে যদি ঘূর্ণিঝড়টি স্থালভাগে আঘাত হানা শুরু করে তবে কমপক্ষে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের চর ও উপকূলীয় এলাকাগুলো। ঘূর্ণিঝড়টির সৃষ্টি এবং স্থালভাগে আঘাত করার সময় যদি তিন দিন পিছিয়ে ১৭/১৮ মে তারিখ হয় তা হলে ১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের চর ও উপকূলীয় এলাকাগুলো। কারণ, ১৮ই মে অমাবস্যার রাত।