নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক শ্রেনীর বই ছাপানোর কাজ এখনও শুরুই হয়নি। ঢিমেতালে চলছে মাধ্যমিক শ্রেনীর বই ছাপানোর কাজও। কাগজ সংকটের কারণেবই ছাপানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি ছাপাখানার মালিকদের। নতুন বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
চলতি বছর একের পর এক সংকটে বিঘ্নিত হচ্ছে বই ছাপার কাজ। বছরের মাঝামাঝি সময়ে দরপত্র আহ্বান, ডলার সংকট, বিদ্যুৎ সংকটসহ নানা জটিলতায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে বই ছাপানোর কাজ। এখন প্রকট হয়ে উঠেছে কাগজ সংকট।
রাজধানীর কিছু ছাপাখানা ঘুরে দেখা গেছে, বছরের এই শেষ সময়েও অনেকটাই স্থবির প্রেসগুলো।
ঢিলেঢালাভাবে চলছে মাধ্যমিক পর্যায়ের বইয়ের মুদ্রণও। একদিকে, এনসিটিবি নির্ধারিত মাণসম্পন্ন কাগজের সংকট। তারপরও গত বছর ছাপানো বইয়ের প্রায় ২০শতাংশ টাকা এখনও ছাড় করেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এসব জটিলতা ও সংকটে এখনও প্রাথমিকের বই ছাপার কাজ শুরুই হয়নি।
অবশ্য পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলছে, সব জটিলতা ও সংকট কাটিয়ে নতুন বছরের বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের মোট ৩৪কোটি বই জানুয়ারির প্রথম দিনে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়ার পরিকল্পনা এনসিটিবি’র।