২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৪:১৯
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৪:১৯

বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২, সিলেটেই ৫১

সারাদেশে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন নয়জন। এছাড়াও এই সময়ে নতুন করে পানিবাহিতসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮৮ জন। বন্যাকবলিত এলাকায় বন্যাসৃষ্ট দুর্ঘটনা ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এদের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগে।

শনিবার (২৫ জুন) বিকেলে সারাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের ১০ জেলায় এখন পর্যন্ত ৮২ জন মারা গেছে। সিলেট বিভাগেই ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুনামগঞ্জে ২৬ জন, মৌলভীবাজারে ৪ জন এবং হবিগঞ্জে ৩ জন মারা গেছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগে বন্যাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ৫ জন, নেত্রকোণা জেলায় ৯ জন, জামালপুর জেলায় ৯ জন এবং শেরপুর জেলায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রংপুর বিভাগে এখন পর্যন্ত বন্যায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ৩ জন এবং লালমনিরহাটে ১ জন মারা গেছেন। তবে রংপুর বিভাগে কারো মৃত্যু হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, বন্যায় সারাদেশে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ এখন পর্যন্ত বন্যায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ২০২ জনে দাঁড়িয়েছে।

এতে বলা হয়, গত ১৭ মে থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৬৪ জন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ডায়রিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১৬৬ জন, এ রোগে কারো মৃত্যু হয়নি।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত এলাকায় বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন, তাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনে ছয় জন আক্রান্ত হয়েছেন, দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে পানিতে ডুবে মোট ৫৬ জনের মৃত্যু হয়।

চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৪ জন, চোখের প্রদাহজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ জন, নানাভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন ৯৯ জন। এছাড়া অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮৪০ জন, মারা গেছেন ৯ জন।

Facebook
Twitter
LinkedIn