দেশে বন্যার কারণে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর পানি। অন্যদিকে করোনাভাইরাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তার পরও পরিবার নিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ বাড়ি ফিরছেন। এ কারণে বুধবার সকাল থেকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বেড়েছে ঢাকা ফেরত যাত্রীদের চাপ।
সরেজমিন দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সোমবার থেকে দৌলতদিয়া প্রান্তে বন্ধ থাকা দুটি ফেরিঘাট সচল করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। ছয়টি ফেরিঘাটের মধ্যে চারটি ফেরিঘাটের ১৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়া ছাড়া তেমন কোনো ভোগান্তি হবে না এ যাত্রায়।
বুধবার সকাল থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরবাইকে করে স্বল্পসংখ্যক যাত্রীর নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন। বিআইডব্লিউটির দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. আবু আবদুল্লাহ রনি জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে এ মুহূর্ত্বে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। বিকাল নাগাদ আরও একটি ফেরি যুক্ত হলে এ রুটে ১৬টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হবে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকলেও এবারের ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঈদে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় জেলা পুলিশের ৬০ সদস্য এবং এপিবিএনের ৫০ সদস্য ও হাইওয়ে পুলিশের ৩৫ পুলিশ কাজ করছে।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ঈদে ঘাটে সমস্যা থাকায় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানকে অবহিত করার পর হলে দ্রুত ঘাট মেরামত করা হয়। বন্যা ও করোনার প্রভাব সত্ত্বেও নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, করোনাকালে সব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবাই মানবিক আচরণ করলে এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে।