আগের দিনই ব্রাজিল কোচ বলেছিলেন লা পাজে খেলাটা অমানবিক। তবে স্বাগতিকদের হেসে খেলেই হারাল তার দল। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করা বলিভিয়ার মাঠে তাদের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল। অক্সিজেন স্বল্পতাকে জয় করে ০-৪ গোলের দাপুটে জয় নিয়ে লা পাজে ছেড়েছে কোচ তিতের দল। ব্রাজিলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন রিচার্লিসন, একটি করে গোল পেয়েছেন লুকাস পাকেতা ও ব্রুনো গিমারেস।
সুমদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৬০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত বলিভিয়ার লা পাজের এস্তাদিও হার্নান্দো সাইলেস স্টেডিয়াম। তবে এই উচ্চতা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি ব্রাজিল খেলোয়াড়দের সামনে। যদিও সেলেসাওদের খেলার গতি ছিল কিছুটা মন্থরই। সঙ্গে কার্ড আইনে এদিন মাঠে নামতে পারেননি নেইমার জুনিয়রের সঙ্গে ও ভিনিসিউস জুনিয়রও। মোট ৭ পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলেন ব্রাজিল কোচ।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার মতোই ম্যাচের ২৪ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। গোলটি আসে পাকেতার পা থেকে। প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান ২-০ করেন রিচার্লিসন। অ্যান্থনির বুদ্ধিদীপ্ত পাসে ৪৫তম মিনিটে গোলমুখে আলতো টোকায় বল জালে জড়ান এই ফরোয়ার্ড। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আক্রমণের ধার আরো বাড়িয়ে দেয় তিতের দল। ৬৬ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন গিমারেস। লুকাস পাকুয়েতার বাড়ানো বলে ডান পায়ের শটে গোল করেন নিউক্যাসল ইউনাইটেডের এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। ব্রাজিলের হয়ে এটি তার ক্যারিয়ারের প্রথম গোল।
মাঝখানে বলিভিয়া গোলের কিছু সুযোগ তৈরি করলেও পূর্ণতা পায়নি সেগুলো। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ব্যবধান আরও বাড়ান রিচার্লিসন। এতে ০-৪ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
এই জয়ে ১৭ ম্যাচে ১৪ জয় আর ৩ ড্রয়ে নেইমারদের সংগ্রহ ৪৫ পয়েন্ট। এটি নতুন রেকর্ডও বটে। ২০০২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার ৪৩ পয়েন্টই এতদিন ছিল সর্বোচ্চ।