করোনার কারণে দীর্ঘ ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলো বাংলাদেশ। আর এদিনই চলে গেলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের শুরুর দিনগুলোর অন্যতম কারিগর রাইসউদ্দিন আহমেদ। রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে গতকাল সকালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮২ বছর। এই প্রজন্মের ক্রিকেটপ্রেমীরা ক্রিকেটের রমরমা দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু স্বাধীনতার পর ব্যাপারটা ছিল ঠিক উল্টো। ক্রিকেটকে তখন শুরু করতে হয়েছিল একেবারে শূন্য থেকেই। সেই সময় যে ক’জন ক্রিকেট সংগঠক দেশের ক্রিকেটকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন, যাদের হাত ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের যাত্রা শুরু, রাইসউদ্দিন আহমেদ তাদের অন্যতম।
ত এই ক্লাব। বাংলাদেশ বিমান থেকে টিকেটের ব্যবস্থাও করেছিলেন তারা। বাংলাদেশ ক্রিকেটে স্পন্সর প্রথাও শুরু হয় তখন থেকে। সেই সফর থেকে ফিরে এমসিসি দল ইতিবাচক রিপোর্ট দেয়ার পরই বাংলাদেশের আইসিসি সহযোগী সদস্যপদ হওয়ার পথ খুলে যায়। শুধু এমসিসিই নয়, রাইসউদ্দিনদের উদ্যোগে সেসময় শ্রীলঙ্কা, হায়দরাবাদ ব্লুজ, পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন বিদেশি দল আসে বাংলাদেশ সফরে। দেশে স্কুল ক্রিকেট চালু হয়েছিল তার উদ্যোগেই। ১৯৯৪ সালে আইসিসি ট্রফিতে প্রথম তিনটি দলের মধ্যে থাকতে পারলেই ১৯৯৬ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হতো বাংলাদেশের। সে লক্ষ্যে বিদেশি কোচের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরপর বিশ্বকাপ কোয়ালিফাই থেকে শুরু করে ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে খেলা ও ২০০০ সালে দশম টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আবির্ভাব। রাইসউদ্দিন আহমেদের অবদান স্মর্তব্য অনেক অর্জনেই।